এরই মধ্যে ভবনের মালিককে ‘কবিতা ক্যাফে’ বন্ধের সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে বাংলানিউজকে বৃহস্পতিবার (১৮ জুন) জানিয়েছেন কবিতা ক্যাফের পরিচালক নাহিদা আশরাফি।
তিনি বলেন, বিগত ৩-৪ মাস ধরে কবিতা ক্যাফে একেবারে বন্ধ।
রাজধানীর কাঁটাবনে অবস্থিত কবিতা ক্যাফেতে হাজার বইয়ের সম্ভার ছিল। ক্যাফের ছোট একটি মঞ্চে নিয়মিত আয়োজিত হতো বিভিন্ন সৃজনশীল অনুষ্ঠান। শিল্প-সাহিত্যভিত্তিক অনুষ্ঠানের জন্য কবিতা ক্যাফে রাজধানীর শিল্প-সংস্কৃতি অনুরাগীদের কাছে আকর্ষণীয় স্থান হয়ে উঠেছিল।
এ বিষয়ে নাহিদা আশরাফি বলেন, বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর থেকে অনেকে ফোন করছেন। তারা বলছেন এটা যেন বন্ধ না করি। আমি তাদের ভালোবাসাটা বুঝি। কিন্তু কিছু করার নেই আসলে। করোনা পরিস্থিতির প্রভাব সামনে আরো কতদিন থাকবে জানি না। ততদিন এটাকে এভাবে টেনে নিয়ে যাওয়াটা আমার জন্য খুবই কষ্টকর।
২০১৮ সালে ১১শ বর্গফুট জায়গায় গড়ে তোলা হয়েছিল বইঘর ‘কবিতা ক্যাফে’। তখন ছয়জন কর্মী নিয়ে এই প্রতিষ্ঠানটি পরিচালনা করা হতো। ধীরে ধীরে নিজেদের গুছিয়ে এনে পূর্ণাঙ্গ বুক ক্যাফে হিসেবেই পরবর্তীতে কার্যক্রম পরিচালনা করছে প্রতিষ্ঠানটি। তাদের সংগ্রহে রয়েছে কয়েক হাজার বই।
এছাড়া ক্যাফেতে রয়েছে হালকা নাস্তা থেকে শুরু করে চাওমিন, বার্গারের মতো আইটেমও। এমনকি দুপুরের লাঞ্চেরও ব্যবস্থা রয়েছে। একপাশে ছোট একটি মঞ্চে নিয়মিত আয়োজিত হয় অনুষ্ঠান। শিল্প-সাহিত্যভিত্তিক অনুষ্ঠানের জন্য কবিতা ক্যাফে রাজধানীর সাহিত্য অনুরাগীদের কাছে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। কিন্তু বিগত তিন মাস ধরে করোনার ধাক্কা সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি।
এর আগে কাঁটাবনের বুকশপ ক্যাফে দীপনপুর বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। বনানীতে ‘পেন্সিল’ নামের একটি বইয়ের দোকানও বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে করোনা পরিস্থিতির কারণে। এই ধারাবাহিকতায় এবার যোগ হচ্ছে কবিতা ক্যাফে।
এদিকে রাজধানীর মানুষের সৃজনশীল ও মননশীল রুচি তৈরির জন্য এই বুক ক্যাফেগুলোকে বাঁচাতে সরকারের প্রণোদনা দেওয়া উচিত বলে মনে করছেন বিশিষ্টজনেরা। তাদের মতে, সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় থেকে প্রণোদনা ঘোষণা করে দীপনপুর, কবিতা ক্যাফের মতো বইয়ের দোকানগুলোকে রক্ষা করা জরুরি।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৩ ঘণ্টা, জুন ১৮, ২০২০
এইচএমএস/এএ