এ বছর চলছে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৫০তম জয়ন্তি। এ উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সঙ্গীত বিভাগ বছরব্যাপী অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করেছে।
এ আয়োজনে বাংলাদেশে রচিত রবীন্দ্রসঙ্গীত বিষয়ক সেমিনার ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। উদ্বোধন করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. দীপুমনি। সঙ্গীত বিভাগের চেয়ারম্যান কুহেলী ইসলামের সভাপতিত্বে মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক ও অধ্যাপক আনিসুজ্জামান। সূচনা বক্তব্য রাখেন সঙ্গীত বিভাগের সহাকারী অধ্যাপক শাহানাজ নাসরীন ইলা।
‘পূর্বাচলের পানে তাকাই’ শিরোনামে মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন ড. মৃদুলকান্তি চক্রবর্তী এবং এ প্রবন্ধ নিয়ে আলোচনা করেন অধ্যাপক আনিসুজ্জামান। ড. মৃদুলকান্তি তার প্রবন্ধে তুলে ধরেন রবীন্দ্রনাথের সৃষ্টিশীলতার ১৮৯১-১৯০১ সময়কে। এ সময় রবীন্দ্রনাথ জমিদারি কাজে বাংলাদেশের শিলাইদহ, শাহজাদপুর ও পতিসর অঞ্চলে বারবার আসা-যাওয়া করেছেন। লিখেছেন বহু উল্লেখযোগ্য কবিতা-গান-ছোটগল্প-নাটক-উপন্যাস কিংবা চিঠি। মূলত ওই সময়ে বাংলাদেশে থাকাকালীন রবীন্দ্রনাথের বিচিত্র সৃষ্টিপ্রসঙ্গই উঠে এসেছে তার প্রবন্ধে।
আলোচনা শেষে সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায় শুরু হয় সাংস্কৃতি অনুষ্ঠান। সঙ্গীত পরিবেশন করেন রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা, পাপিয়া সরোয়ার। কবিতা আবৃত্তি করেন ভাস্বর বন্দ্যোপাধ্যায় ও প্রজ্ঞা লাবণী। নৃত্য পরিবেশন করেন সামিনা হোসেন, প্রেমা ও তামান্না রহমান। এছাড়া সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে আরও অংশ নেন সঙ্গীত বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্ব অনুষ্ঠিত হবে ‘ভাঙাগড়ার রবীন্দ্রনাথ’ শিরোনামে ২০ ও ২১ জানুয়ারি ২০১১, তৃতীয় পর্ব অনুষ্ঠিত হবে ‘মুক্তিযুদ্ধ ও রবীন্দ্রনাথ’ শিরোনামে ২৪ মার্চ ২০১১, সমাপ্তি পর্ব অনুষ্ঠিত হবে ‘ঋতুরঙ্গ’ শিরোনামে ৮ মে ২০১১ তারিখে।
বাংলাদেশ স্থানীয় সময় ২১৫০, অক্টোবর ৩১, ২০১০