বাংলাদেশে গল্প-উপন্যাস লিখে যিনি জনপ্রিয়তার শীর্ষে অবস্থান করছেন তিনি হুমায়ূন আহমেদ। ১৩ নভেম্বর এ কথাসাহিত্যিকের ৬৩তম জন্মদিন।
‘হুমায়ূন আহমেদের একক বই মেলা’ শিরোনামে এ মেলার আয়োজন করে অন্যদিন, অবসর, সময়, অনন্যা, কাকলীসহ হুমায়ূন আহমেদের বইয়ের ১৫ টি প্রকাশনী। মেলায় তার তিনটি নতুন বই ‘ম্যাজিক মুনশি’, ‘সেরা হুমায়ূন’ এবং ‘হুমায়ূন সমগ্র-৪’-এর মোড়ক উন্মোচন করা হয়। বইগুলির মোড়ক উন্মোচন করেন লেখকের আড়াই বছরের পুত্র নিশাদ হুমায়ূন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালন করেন লেখক ইমদাদুল হক মিলন।
অনুষ্ঠানের শুরুতে হুমায়ূন আহমেদকে তার বিভিন্ন প্রকাশনীর পক্ষ থেকে ফুল দিয়ে জন্মদিনের আগাম শুভেচ্ছা জানানো হয়। লেখকের সাথে মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন তার স্ত্রী মেহের আফরোজ শাওন, ছেলে নিশাদ হুমায়ূন। এ সময় তার বন্ধু, প্রিয়জন এবং প্রকাশকরা লেখকের নানা সাফল্যের কথা বলেন এবং তার দীর্ঘায়ু কামনা করেন।
মেলা উদ্বোধনের জন্য হুমায়ূন আহমেদকে মঞ্চে ডাকা হলে তিনি তার স্বভাবসুলভ রসিকতায় বলতে থাকেন, ‘প্রত্যেক মানুষের অনেকগুলো রূপ থাকে, নিজের বই মেলা নিজে উদ্বোধন করা আমার জন্য বিব্রত তাই মেলা উদ্বোধনের জন্য নিয়ে আসলাম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের সাবেক শিক্ষক হুমায়ূন আহমেদকে। এখন বক্তব্য দিবেন শিক্ষক হুমায়ূন আহমেদ। ’
এরপর নাটকীয়ভাবে লেখক থেকে রসায়ন বিভাগের অধ্যাপকের ভূমিকায় গিয়ে তিনি নিজেই পুনরায় বলেন ‘আমি এ লেখককে ৬৩টি বছর ধরে জানি, তিনি কোন দিন লেখক হবেন এ কথা তিনি স্বপ্নেও ভাবেন নি। তার স্কুল-কলেজ পার হয়েছে পাঠ্য বইয়ের অধ্যায়নে। তখন তিনি আউট বই পড়তেন খাটের নিচে লুকিয়ে। তিনি ঘুরে বড়োতে খুব পছন্দ করেন। ’
তিনি পুনরায় লেখকের ভূমিকায় এসে বলেন ‘জনপ্রিয়তা আমি পেয়েছি, লিখতেও চাই আজীবন। তবে আমি জীবন খেলার এ মাঠে থাকতে চাই ততক্ষণ যতক্ষণ আমি রান করতে পারবো। ’
মেলা চলবে প্রতিদিন সকাল ১১ টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত। শেষ হবে ১৪ নভেম্বর।
বাংলাদেশ স্থানীয় সময় : ১৩৩০, নভেম্বর ১২, ২০১০