পিছিয়ে পড়া মুসলিম সমাজে নারীকে যখন অবহেলার পাত্র হিসেবে দেখা হতো, তেমনি এক সময়ে জন্মগ্রহণ করেন বেগম সুফিয়া কামাল। ১৯১১ সালের ২০ জুন বরিশালের শায়েস্তাবাদে জন্মগ্রহণ করেন সুফিয়া কামাল।
মায়ের কাছ থেকে যতটুকু বাংলা পড়া শিখেছিলেন তাই পুঁজি করে বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেনের সাহিত্যপাঠ তাকে ঘর থেকে বাইরে বের হওয়ার পথ দেখায়। মাত্র ১৫ বছর বয়সে তার লেখা কবিতা বাসন্তী সে সময়ের সওগাত পত্রিকায় প্রকাশিত হয়।
এপথে হাঁটতে হাঁটতেই একসময় দেশের প্রধান নারীনেত্রী ও প্রধান নারী কবি হয়ে উঠেন সুফিয়া কামাল। ভাষা আন্দোলন, গণঅভ্যূত্থানে নারীদের অংশগ্রহণের পথে উদ্বুদ্ধ করেন। মহান মুক্তিযুদ্ধে তার ধানমন্ডির বাড়িটি ছিলো মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য অঘোষিত সহায়তা কেন্দ্র।
পাশাপাশি চলে সাংস্কৃতিক অঙ্গনে দেশকে সম্মৃদ্ধ করে তোলার সংগ্রাম। ১৯৫৬ সালে রোকনুজ্জামান খান দাদা ভাইয়ের সঙ্গে তিনি প্রতিষ্ঠান করেন কচিকাঁচার মেলা। ১৯৬১ সালে পাকিস্তান সরকার রবীন্দ্র সংগীত নিষিদ্ধ করলে প্রতিবাদ গড়ে তোলেন। সেবছরই নির্বাচিত হন ছায়ানটের প্রেসিডেন্ট।
সাহিত্য ও দেশ মাতৃকার জন্য নানা অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে ভুষিত হন একুশে পদক, স্বাধীনতা পদক, বাংলা একাডেমি পুরস্কার, বেগম রোকেয়া পদকসহ আরো অনেক পুরস্কারে।
১৯৯৯ সালে ৮৮ বছর বয়সে আজকের এইদিনে মৃত্যুবরণ করেন বেগম সুফিয়া কামাল। নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে এই মহীয়সী নারীর মৃত্যুবার্ষিকী পালন করছে দেশবাসী। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সুফিয়া কামালের ১১তম মৃত্যুবার্ষিকীতে শোকবাণী দিয়েছেন।
বাংলাদেশ সময় : ১১২২ ঘণ্টা, নভেম্বর ২০, ২০১০