রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ভারতে জালিয়ানওয়ালাবাগের হত্যাকা-ের প্রতিবাদে যখন ব্রিটিশদের দেওয়া ‘স্যার’ উপাধি প্রত্যাখ্যান করলেন তখন ইংল্যান্ড ও যুক্তরাষ্ট্রের সুধীমহল ক্ষুব্ধ হন। ইউরোপে রবীন্দ্রনাথ সম্পর্কে ধারণার বদল হতে থাকে।
রবীন্দ্রনাথের দেড়শতম জন্মবর্ষ উপলক্ষে রবীন্দ্রনাথের জার্মান ভ্রমণ ও তার সাহিত্য নিয়ে ধানমন্ডির গ্যেটে ইন্সটিউটে ২২ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় হয়ে গেল এক আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন জন অ্যাডাম ডোলা। এছাড়া জার্মানিতে মাল্টি কালচার সোসাইটি ও রবীন্দ্রনাথের জার্মান ভ্রমণ নিয়ে আলোচনা করেন জার্মান বাংলা সোসাইটির সভাপতি হামিদুল খান ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের শিক্ষক ড. রফিকুল্লাহ খান।
হামিদুল খান দীর্ঘদিন ধরে বাংলা সংস্কৃতিকে তুলে ধরছেন জার্মানিদের সামনে। তিনি বলেন ‘হেরমান কাইজালি ছিলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বন্ধু। তিনি এ দেশে খুব একটা পরিচিত নন। রবীন্দ্রনাথকে জার্মানিতে দেখা হয় দার্শনিক হিসেবে। হেরমান কাইজালির নিমন্ত্রণেই তিনি জার্মান গিয়েছিলেন। ’
এছাড়া হামিদুল খান বর্তমান সময়ে জার্মানে রবীন্দ্রনাথকে কীভাবে মূল্যায়ন করা হচ্ছে, তিনি জার্মানির কোথায় কোথায় গিয়েছিলেন সে বিষয়ও কথা বলেন। তিনি উপস্থিত শ্রোতা-দর্শকদের দেখান কাইজালির সঙ্গে রবীন্দ্রনাথের ছবি, জার্মান ভাষায় অনূদিত রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘ঘরে বাইরে’ ও ‘গীতাঞ্জলি’।
রফিকুল্লাহ খান হামিদুল খানের বক্তব্যকেই ইংরেজিতে দর্শকদের উদ্দেশ্যে পাঠ করে শোনান। অতিথিদের বক্তব্যের ফাঁকে ফাঁকে রবীন্দ্রনাথের কবিতা আবৃত্তি, গান ও নৃত্য পরিবেশিত হয়।
বাংলাদেশ স্থানীয় সময় ২৩২০, ডিসেম্বর ২২, ২০১০