২ জানুয়ারি কথাসাহিত্যিক শওকত ওসমানের জন্মদিন। শওকত ওসমান পশ্চিমবাংলার হুগলি জেলায় ১৯১৭ সালে জন্মগ্রহণ করেন।
১৯৪৭ সালে শওকত ওসমান পশ্চিম পাকিস্তানে চলে আসেন। ১৯৫৯ সালে যোগ দেন ঢাকা কলেজে এবং এখান থেকেই ১৯৭২ সালে অবসর গ্রহণ করেন।
শওকত ওসমান মূলত ঔপন্যাসিক এবং ছোটগল্পকার হিসেবে পরিচিত। তার সবচেয়ে আলোচিত দুটি বই হচ্ছে ১৯৫৮ সালে প্রকাশিত ‘জননী’ এবং ১৯৬২ সালে প্রকাশিত ‘ক্রীতদাসের হাসি’।
জননী উপন্যাসের গল্প গ্রাম ও শহরের জীবনের সংঘর্ষের কারণে একটি পরিবারের ভেঙে যাওয়া নিয়ে। অপর দিকে ক্রীতদাসের হাসি একনায়কতন্ত্রের আধিপত্য, নির্যাতন এবং এর বিরুদ্ধে এক ধরনের প্রতীকী বিদ্রোহের উপন্যাস।
এগুলো ছাড়াও তার উল্লেখযোগ্য উপন্যাসের মধ্যে রয়েছে জাহান্নাম হইতে বিদায় ( ১৯৭১), দুই সৈনিক (১৯৭৩), নেকড়ে অরণ্য (১৯৭৩), পতঙ্গ পিঞ্জর (১৯৮৩), আর্তনাদ (১৯৮৫), রাজপুরুষ (১৯৯২)।
এছাড়া তিনি লিখেছেন প্রবন্ধ, নাটক, স্মৃতিমূলক এবং ছোটদের জন্য বই। অনুবাদ করেছেন বহু উপন্যাস, ছোটগল্প ও নাটক। ১৯৯৮ সালে শওকত ওসমান ঢাকায় মৃত্যুবরণ করেন।
সাহিত্যকর্মের স্বীকৃতি স্বরূপ শওকত ওসমান পেয়েছেন অনেক পুরস্কার। তার মধ্যে রয়েছে বাংলা একাডেমী পুরস্কার (১৯৬২), আদমজী সাহিত্য পুরস্কার (১৯৬৬), প্রেসিডেন্ট পুরস্কার (১৯৬৭), একুশে পদক (১৯৮৩), মুক্তধারা সাহিত্য পুরস্কার (১৯৯১) এবং স্বাধীনতা দিবস পুরস্কার (১৯৯৭)।
শওকত ওসমান বাংলা সংস্কৃতির একজন বলিষ্ঠ সমর্থক ছিলেন এবং একনায়কত্ব এবং ধর্মীয় কুসংস্কারের তীব্র প্রতিবাদ করেছিলেন।
এ বছর পালিত হচ্ছে শওকত ওসমানের ৯৫তম জন্মদিন। এ উপলক্ষে ২ জানুয়ারি বিকেলে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে এক স্মরণসভার আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে আহমদ রফিকের সভাপতিত্বে আলোচক ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষাবিজ্ঞানের অধ্যাপক ড. ফিরোজা ইয়াসমীন, কবি নাসির আহমেদ, অধ্যাপক বুলবন ওসমান ও চলচ্চিত্র নির্মাতা সৈয়দ সালাহউদ্দিন জাকী।
এছাড়া পিতৃস্মৃতিচারণ করেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী ইয়াফেস ওসমান।
বাংলাদেশ সময় ১৯৫০, জানুয়ারি ২, ২০১০