‘নিজেদের বড় করে দেখানোর একটা প্রবণতা আমাদের মধ্যে সবসময় থাকে, আমরা যা নই তা-ই দেখাতে চাই। লেখাকে সাহিত্য করতে গিয়ে আমরা দুর্বোধ্য করে ফেলি।
বইটির প্রকাশক শুদ্ধস্বর ২ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় পাবলিক লাইব্রেরির সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে বইটির প্রকাশনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলা একাডেমীর মহাপরিচালক শাসসুজ্জামান খান বলেন ‘জিনান বইটি পরম যতেœ লিখেছে। প্রতিটি বর্ণ বসিয়েছে শিল্পের কারিগরের মতো। বই পড়তে গিয়ে মাঝে মাঝে চোখ ভিজে যায়; আবার হাসিও পায়। এটাই লেখকের সার্থকতা। ’
আহমাদ মাযহার বলেন, ‘পারিবারিকভাবে আমি জিনানকে চিনি, তার পর্যবেক্ষণের তীক্ষèতা আমি দেখেছি। এ বইয়ে তার প্রতিফলন আছে। তবে ভাবকে সাহিত্য করে তোলার বাড়াবাড়ি নাই। সহজ-সরল ভাব প্রকাশের জন্য এ বইটি একটি দৃষ্টান্ত হতে পারে। ’
সভাপতির বক্তব্যে কবি বেলাল চৌধুরী বলেন, ‘জীবনানন্দ দাশকে যিনি নতুনভাবে পরিচয় করিয়ে দিয়েছেন, বাংলা গদ্যকে যিনি ভেঙ্গে নির্মাণ করেছেন, তিনি আবদুল মান্নান সৈয়দ। তার এ বিদায় বাংলা সাহিত্যের জন্য অপূরণীয় ক্ষতি। এ বইয়ে তার কন্যা তার বাবার উত্তরাধিকারের পরিচয় দিয়েছে। ’
অনুষ্ঠানে স্মৃতিচারণমূলক বক্তব্য রাখেন কবি আসাদ চৌধুরী, ছড়াকার লুৎফুর রহমান রিটন।
প্রকাশক আহমেদুর রশীদ চৌধুরী বলেন, ‘আমরা আবদুল মান্নান সৈয়দের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে এ বই প্রকাশ করেছি, সামনের বার তাঁর আরো তিনটি বই পুনর্মুদ্রণ করব।
বইয়ের লেখক জিনান সৈয়দ নিজের অনুভূতি প্রকাশ করে বলেন, ‘বইয়ের প্রতিটি কথা লিখেছি হৃদয়ের কোণ থেকে, এখানে উপস্থিত প্রত্যেকের কথায় আমি অনুপ্রাণিত হয়েছি, আত্মবিশ্বাস পেয়েছি আরো লিখে যাওয়ার। ’
বাংলাদেশ সময় ২২৩০, জানুয়ারি ২, ২০১১