দীর্ঘ সময়ের পথচলায় সংগঠনটি বিভিন্ন ইতিহাসের অংশ হয়েছে। বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন, যুক্তফ্রন্টের নির্বাচন, শিক্ষা আন্দোলন, ছয় দফা আন্দোলনে ছাত্রলীগ অবিস্মরণীয় অবদান রাখে।
বৃহস্পতিবার (৪ জানুয়ারি) থেকে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে প্রতিবারের মতো ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করেছে ছাত্রলীগ।
‘বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে দেশরত্ন শেখ হাসিনার ভিশন বাস্তবায়নে আসুন মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় কলম ধরি জঙ্গিবাদ ও মাদকমুক্ত দেশ গড়ি’ এই স্লোগান বা প্রতিপাদ্য নিয়ে এবারের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠান পালন করবে সংগঠনটি।
সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ বাংলানিউজকে বলেন, প্রতিষ্ঠার পর থেকে ছাত্রলীগ দেশের ইতিহাসের অংশ হয়েছে। ৫২ থেকে পঁচাত্তর পর্যন্ত বঙ্গবন্ধুর দিক নির্দেশনায় ছাত্রলীগ মুক্তিযুদ্ধসহ সব ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে। বর্তমানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় শিক্ষার্থীদের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছে ছাত্রলীগ। এছাড়া সাম্প্রতিক সময়ে বন্যা, পাহাড় ধস ও রোহিঙ্গাদের সাহায্যে অগ্রণী ভূমিকা পালন করি আমরা।
ছাত্রলীগের দফতর সম্পাদক দেলোয়ার শাহজাদা বাংলানিউজকে বলেন, প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর প্রস্তুতি শেষ পর্যায়ে। ঢাকায় র্যালির তারিখ পরিবর্তন হওয়ায় বৃহস্পতিবার থেকে আমরা মঞ্চ তৈরির কাজ শুরু করব। এছাড়া অন্যান্য সব প্রস্তুতি শেষ করা হয়েছে। আমাদের বিভিন্ন উপ-কমিটি গঠন করা হয়েছিল তারা তাদের সব কাজ করেছে। দিবসটি উপলক্ষে বিভিন্ন ভবনে আলোকসজ্জা করা হবে বলে জানান তিনি।
প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ছাত্রলীগের বিভিন্ন সময়ে অবদান, শিক্ষাবান্ধব কর্মসূচি, সরকারের উন্নয়ন নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন এলাকায় দেয়াল লিখন করা হয়েছে।
রাজধানীবাসীর ভোগান্তি এড়াতে ছুটির দিনে র্যালি
কর্মদিবসে রাস্তা বন্ধ করে শোভাযাত্রা পালন করার জন্য ছাত্রলীগকে সমালোচনার মুখোমুখি হতে হয়। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অনুষ্ঠিত ছাত্রলীগের পূনর্মিলনীতে সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক এসএম জাকির হোসাইন ছুটির দিন ছাড়া আর র্যালি না করার ঘোষণা দেন। তাই এবার প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর নির্ধারিত র্যালিটি ঢাকায় ৬ জানুয়ারি সকাল ১০টায় (শনিবার) অনুষ্ঠিত হবে। তবে ঢাকার বাইরে র্যালি ৪ জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিত হবে।
৬ দিনব্যাপী কর্মসূচি
কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে ৪ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৬টায় ছাত্রলীগের সব সাংগঠনিক কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন। সাড়ে ৭টায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন। সকাল ১০টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্জন হলে কেক কাটা।
ছাত্রলীগের কর্মসূচি ও পরিকল্পনা সম্পাদক রাকিব হোসেন বাংলানিউজকে জানান, প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর দিন বিকেলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তার বাসভবনে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন।
এছাড়া ৫ জানুয়ারি শুক্রবার রাজধানীসহ সারাদেশে গণতন্ত্রের বিজয় দিবস পালন করবে ছাত্রলীগ। ৬ জানুয়ারি সকাল ১০টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বঙ্গবন্ধু এভিনিউ পর্যন্ত আনন্দ র্যালি অনুষ্ঠিত হবে। এতে অংশ নেবেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটি ছাড়াও ঢাকা বিশ্বিবদ্যালয়, ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ এবং রাজধানীতে অবস্থিত ছাত্রলীগের সব ইউনিটের নেতা-কর্মীরা।
৮ জানুয়ারি (সোমবার) দুপুর ২টায় ঢাবির সোপার্জিত স্বাধীনতা চত্বরে দুস্থদের মধ্যে শীতবস্ত্র বিতরণ, ৯ জানুয়ারি (মঙ্গলবার) স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচি এবং ১১ জানুয়ারি (বৃহস্পতিবার) সকাল ১০টায় অপরাজেয় বাংলায় কোমলমতি শিক্ষার্থীদের মধ্যে শিক্ষা উপকরণ বিতরণ করার কর্মসূচি নেয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২০৩৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২০১৮
এসকেবি/এসএইচ