তারেক রহমানের আইনি নোটিশের ব্যাপারে সোমবার (২৩ এপ্রিলৈ) সন্ধ্যায় গুলশানে নিজ বাসভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব এ মন্তব্য করেন প্রতিমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ২০১৪ সালের ২ জুন তারেক রহমান, তার স্ত্রী জোবাইদা রহমান এবং তাদের মেয়ে; তিনজনেরই পাসপোর্ট ব্রিটিশ হোম অফিসে সমর্পণ করেছেন।
শাহরিয়ার আলম বলেন, আমাদের কাছে তথ্য প্রমাণ আছে। বিএনপির কেউ চাইলে আমরা তারেক রহমানের সেই পাসপোর্ট দেখাতে পারি। তিনি দেশে ফিরতে চান না বলেই এই পাসপোর্ট সারেন্ডার করেছেন।
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, তারেক রহমানকে ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে সরকার বদ্ধপরিকর। বাংলাদেশের নাগরিকত্ব পাওয়ার মতো তারেক রহমানের কাছে এই মুহূর্তে কোন ভ্যালিড ট্রাভেল ডকুমেন্ট নেই।
তিনি বলেন, আইনি নোটিশ পাঠানোর মধ্য দিয়ে তারেক রহমান প্রমাণ করেছেন যে বাংলাদেশের আদালত ও বিচার ব্যবস্থার প্রতি তার আস্থা আছে। আইন অনুযায়ী তারেক রহমান এখন বাংলাদেশের নাগরিক নন, যেহেতু তিনি পাসপোর্ট রিনিউ এর জন্য আবেদন না করে ব্রটিশ হোম অফিসে জমা দিয়েছেন। এখন দ্বৈত নাগরিকত্ব পেতে হলে তাকে পুনরায় বাংলাদেশি পাসপোর্টের জন্য আবেদন করতে হবে।
তারেক রহমানের পাঠানো আইনি নোটিশ আইনিভাবে মোকাবিলা করতে প্রস্তুত রয়েছেন বলেও জানান পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম।
‘লন্ডনে বাংলাদেশ হাইকমিশনে পাসপোর্ট জমা দিয়ে নাগরিকত্ব বর্জন করেছেন তারেক রহমান’- পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর এমন মন্তব্যের বিষয়ে লিগ্যাল নোটিশ দেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমসহ তিনজনকে এ নোটিশ দেন তারেক রহমানের আইনজীবী ও বিএনপির আইন বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল।
নোটিশ পাওয়ার ১০ দিনের মধ্যে বক্তব্যের প্রমাণ অথবা বক্তব্য প্রত্যাহার করে ক্ষমা চাইতে হবে। অন্যথায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা হয়েছে নোটিশে।
আরও বলা হয়েছে, তারেক রহমান লন্ডনে বাংলাদেশ হাইকমিশনে পাসপোর্ট জমা দিয়ে নাগরিকত্ব বর্জন করেছেন বলে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম যে বক্তব্য দিয়েছেন, তা অসত্য, বানোয়াট ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। তারেক রহমানকে রাজনৈতিক ও সামাজিকভাবে হেয় করতেই প্রতিমন্ত্রী এ বক্তব্য দিয়েছেন।
নোটিশে বলা হয়, ২১ এপ্রিল লন্ডনে আওয়ামী লীগের এক সভায় প্রতিমন্ত্রী ওই বক্তব্য দেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৫২ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৩, ২০১৮/আপডেট: ১৯১২ ঘণ্টা
কেজেড/এমজেএফ