রোববার (২২ জুলাই) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে নয়াপল্টন কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ দাবি জানান।
আদালত থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় বের হলেন মাহমুদুর রহমান
মির্জা ফখরুল বলেন, আজকে আমাদের সম্পাদকমণ্ডলীর সভা ছিল।
তিনি আরও বলেন, মাহমুদুর রহমান আদালতের কাছে নিরাপত্তা চাইলে আদালত থানার ওসিকে নিরাপত্তা দিতে বলেন। কিন্তু ওসি আদালতকে জানিয়ে দেন তিনি আসতে পারবেন না। এরপর বিভিন্ন মহলে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু কেউ এগিয়ে আসেননি।
তিনি বলেন, আদালতের ওসি তাকে বের হয়ে আসতে বলেন। বের হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তাদের আক্রমণ করা হয়। তার মাথায় আঘাত করা হয়। তার সারা শরীর রক্তাক্ত করা হয়। তার সঙ্গে অন্য যারা ছিলেন তারাও আহত হন। তারা সেখানে চিকিৎসা নেওয়ার সুযোগ পাননি। তাদের কোনো গাড়িও দেওয়া হয়নি।
মির্জা ফখরুল বলেন, সরকারের দায়িত্ব ছিল পুলিশ হেফাজতে তাকে হাসপাতালে পাঠানো কিন্তু তারা তা করেনি। দুভার্গজনকভাবে নয়, ক্ষোভের সঙ্গে আমরা লক্ষ্য করছি তারা সে ব্যবস্থা করেনি।
তিনি বলেন, রাষ্ট্রযন্ত্র সম্পূর্ণভাবে ভেঙে পড়েছে। এখানে রাষ্ট্রের কোনো প্রতিষ্ঠান কাজ করছে না। পুলিশ সম্পূর্ণ আওয়ামী লীগের নির্দেশে চলছে। দুঃখজনকভাবে বিচারাঙ্গণকেও আজকে তারা প্রায় দখল করে নিয়েছে।
সাংবাদিকদের উদ্দেশে ফখরুল বলেন, আপনাদের মাধ্যমে জনগণকে বলতে চাই, এদেশে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলো সব ভেঙে গেছে। রাষ্ট্রীয়যন্ত্রগুলো আওয়ামী লীগের ক্রীড়ানকে পরিণত হয়েছে। আন্দোলনের মধ্য দিয়ে এই সরকারকে সরিয়ে দিয়ে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। তা না হলে মাহমুদুর রহমানসহ কেউ বিচার পাবে না।
তিনি বলেন, আমরা অবিলম্বে যারা সন্ত্রাস করেছে তাদের চিহ্নিত ও গ্রেফতার করে তাদের বিরুদ্ধে বিচারবিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ড. আবদুল মঈন খান, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম-মহাসচিব মাহবুব উদ্দিন খোকন, ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলনসহ নেতারা।
বাংলাদেশ সময়: ১৯১৯ ঘণ্টা, জুলাই ২২, ২০১৮
এমএইচ/এএটি