সরকারের ক্ষমতাধর ব্যক্তিদের মধ্যে প্রভাবশালী এই মন্ত্রী একাদশ জাতীয় জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য যে হলফনামা দিয়েছেন তাতে এতথ্যই প্রকাশ পেয়েছে। সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-১২ আসন থেকে ভোট করবেন কামাল।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পেশা হিসেবে দেখানো হয়েছে রাজনীতি/ব্যবসা। তার সর্বোচ্চ শিক্ষাগত যোগ্যতা বিএসসি।
হলফনামায় আয়ের উৎসে বাড়ি/অ্যাপার্টমেন্ট/দোকান বা অন্যান্য ভাড়া থেকে আয় তিন লাখ ৬০ হাজার টাকা দেখানো হয়েছে। ব্যবসা থেকে নিজের আয় না থাকলেও স্ত্রী বা নির্ভরশীলদের আয় ৪৯ লাখ ২২ হাজার ৪৮২ টাকা।
নিজের সাত লাখ ৬১ হাজার ৫৬১ টাকার শেয়ার, সঞ্চয়পত্র/ব্যাংক আমানত রয়েছে তার। স্ত্রীর রয়েছে এক লাখ ৬৩ হাজার ১৪ টাকার।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর চাকরি/মন্ত্রী হিসেবে তার প্রাপ্ত বাৎসরিক বেতন ও ভাতা ২৩ লাখ ২৭ হাজার ৫৮০ টাকা এবং স্ত্রীর এক লাখ ৮০ হাজার টাকা দেখানো হয়েছে হলফনামায়।
অন্যান্য আয়ের মধ্যে মুক্তিযোদ্ধা ভাতা ও ফরেন রেমিটেন্টস বাবদ তার আয় ৩০ লাখ ৩০ হাজার এবং স্ত্রীর আয় আট লাখ ২০ হাজার টাকা।
মনোনয়নপত্র দাখিলের দিন ২৭ নভেম্বর অস্থাবর সম্মত্তির মধ্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে ছিল দুই লাখ ৭০ হাজার ৬৮৫ টাকা এবং স্ত্রী বা নির্ভরশীল ব্যক্তির কাছে ছিল ৩৯ লাখ ৩৬ হাজার ৩৪৬ টাকা। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে নিজের নামে জমাকৃত অর্থের পরিমাণ এক কোটি ৪৪ লাখ ৫৩ হাজার ১৬২ টাকা এবং স্ত্রী বা নির্ভরশীল ব্যক্তির নামে রয়েছে ১২ লাখ ৬৫ হাজার ১৭৮ টাকা।
বন্ড, ঋণপত্র ও কোম্পানির শেয়ার নিজের রয়েছে ২৩ লাখ ৯৭ হাজার ৭০০ টাকার এবং স্ত্রী বা নির্ভরশীল ব্যক্তির নামে রয়েছে ২৩ লাখ ১৯ হাজার ৭০০ টাকার।
বিভিন্ন ধরনের সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ রয়েছে তার এক কোটি ৫৬ লাখ ৮০ হাজার ২৩৫ টাকা এবং স্ত্রী বা নির্ভরশীল ব্যক্তির রয়েছে ৩০ লাখ ৮২ হাজার ৮২৬ টাকা।
সংসদ সদস্য কোটায় ৪১ লাখ ৭৮ হাজার ৮০৫ টাকা এবং ৭৩ লাখ টাকার দু’টি গাড়ি আছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর। তবে তার স্ত্রী বা নির্ভরশীল ব্যক্তির নামে কোনো গাড়ি নেই।
নিজের নামে ১০ ভরি ও স্ত্রী বা নির্ভরশীল ব্যক্তির নামে রয়েছে ২০ ভরি স্বর্ণালংকার। নিজের নামে এক লাখ টাকার ইলেকট্রনিক সামগ্রী ও এক লাখ টাকার আসবাবপত্র রয়েছে। স্ত্রীর ব্যবসা মূলধনের পরিমাণ ৮৭ লাখ ২৬ হাজার ১১৮ টাকা।
স্থাবর সম্পত্তির মধ্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নিজের নামে ৪৭১.৫ শতাংশ কৃষি জমি রয়েছে। যার ক্রয় মূল্য ৫৫ লাখ ৯৫ হাজার ৮৫০ টাকা। নিজের নামে অকৃষি জমি রয়েছে ১৮.৫ কাঠা। যার মূল্য ৫৮ লাখ ৫০ হাজার ও স্ত্রীর নামে থাকা ১৩৪ শতাংশের মূল্য ৩১ লাখ ৬২ হাজার ৫০০ টাকা। নিজের নামে বাড়ি বা অ্যাপার্টমেন্টের মূল্য ১২ লাখ ৯৭ হাজার টাকা। তবে কোনো প্রতিষ্ঠান থেকে ঋণ গ্রহণ করেননি তিনি।
আর তার কোনো ব্যক্তি দায় নেই। ২০০২ সালে একটি মামলা হলেও তদন্তে সংশ্লিষ্টতা না পাওয়ায় অভিযোগপত্র থেকে নাম বাদ পড়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নাম।
এরআগে নির্বাচিত হয়ে প্রতিশ্রুতির মধ্যে রাস্তাঘাট, বিদ্যুৎ, গ্যাস, পানিসহ বিভিন্ন নাগরিক সেবা পূরণ করেছেন শতভাগ। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান নির্মাণ ও সংস্কারের প্রতিশ্রুতিও শতভাগ পূরণ করেছেন বলে দাবি করেছেন হলফনামায়। সামাজিক নিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলার ৯০ শতাংশ এবং যুব উন্নয়ন ও কর্মসংস্থানে ৬৫ শতাংশ পূরণ করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
বাংলাদেশ সময়: ০৬৩৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১, ২০১৮
এমআইএইচ/এসআই