সোমবার (০৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে আওরঙ্গবাদ খয়ের বাগান এলাকায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- খয়েরবাগান গ্রামের মৃত জাহেদ আলী শেখের ছেলে আব্দুল মালেক ও মৃত গহের আলী খানের ছেলে লষ্কর আলী খান।
নিহত লষ্কর খানের নাতি রাতুল হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, সন্ধ্যায় খয়ের বাগানে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী আলোচনা সভা ছিলো। আমার চাচা সুলতান ওই সভায় যাওয়ার জন্য বাড়িতে প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। এ সময় সাইদ চেয়ারম্যান তার লোকবল নিয়ে আমাদের বাড়িতে হামলা করে। হামলাকারীরা সুলতাল চাচাকে গুলি করতে গেলে আমার দুই দাদা লষ্কর খান ও আব্দুল মালেক সামনে এগিয়ে যান। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে তারা দুইজনেই ঘটনাস্থলে মারা যান। এছাড়াও সুলতানসহ আরো ১০/১২ জন আহত হন।
ভাড়ারা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আবু সাঈদ খান বাংলানিউজকে বলেন, এ ঘটনার সঙ্গে আমার কোনো সম্পৃক্ততা নেই। সুলতান ও আক্কাস গ্রুপের লোকজনের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সুলতান আওয়ামী লীগের কেউ নয় তিনি জাসদের সমর্থক।
পাবনা সদর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার এবনে মিজান বাংলানিউজকে বলেন, গ্রামটি পদ্মা নদীর চর এলাকা হওয়ায় ব্যাপকভাবে বালি উত্তোলন করে একটি চক্র। ওই বালি উত্তোলনকে কেন্দ্র করে স্থানীয় আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলছিল। বিষয়টি খতিয়ে দেখতে পুলিশি তদন্ত শুরু করেছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৩, ২০১৮ আপডেট: ২১০৮ ঘণ্টা
এনটি