সোমবার (১০ ডিসেম্বর) দুপুরে আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে নানক এ আহ্বান জানান।
আওয়ামী লীগের এ নেতা বলেন, আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জনগণ বিএনপি-জামায়াত অপশক্তির ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলে ব্যালটের মাধ্যমে আগুন সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে, মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধীদের বিরুদ্ধে রায় দেবে।
নানক বলেন, বিএনপির নেতাকর্মীরা মনোনয়ন বাণিজ্যের প্রতিবাদে তাদের চেয়ারপারসনের কার্যালয় ও কেন্দ্রীয় কার্যালয় ঘিরে রেখেছে। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ সিনিয়র নেতাদের অপদস্থ করা হয়েছে এবং দলীয় কার্যালয় ভাঙচুর করতে দেখা গেছে। এ থেকেই প্রমাণিত হয়, বিএনপির মনোনয়ন প্রক্রিয়ায় ব্যাপক মনোনয়ন বাণিজ্য হয়েছে। তাদের নেতাকর্মীদের অভিযোগ অনুযায়ী পলাতক তারেক রহমান, এই মনোনয়ন বাণিজ্য চালিয়েছে। তাহলে দেশবাসীর প্রশ্ন, বিএনপির মনোনয়ন বাণিজ্যে দেশ থেকে কতো টাকা পাচার হয়েছে? আর এই টাকা আগামী নির্বাচনে ব্যবহার হলে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে। এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনকে পদক্ষেপ গ্রহণের অনুরোধ জানাচ্ছি।
জাহাঙ্গীর কবির নানক আরও বলেন, দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত সন্ত্রাসী সংগঠন শিবিরের কয়েকজন নেতা আগ্নেয়াস্ত্র ও বোমাসহ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে ধরা পড়েছে। এ থেকে বোঝা যায় বিএনপি এবং জামায়াত নাশকতা সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নিশ্চয়ই ব্যবস্থা নেবে। তারপরও আমরা উদ্বেগ উৎকণ্ঠায় আছি। জনগণের কাছে ভোট চাওয়ার মতো কোনো অর্জন তাদের নেই। জনগণের কাছে ভোট চাওয়ার মতো তাদের কোনো নৈতিক ও যৌক্তিক ভিত্তি নেই। তাই নিজেদের নিশ্চিত পরাজয় জেনে তারা ষড়যন্ত্রের পথে, চক্রান্তের মাধ্যমে, নাশকতা ও সন্ত্রাসের পথ ধরে নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হচ্ছে। তাদের তথাকথিত ঐক্যফ্রন্টের ত্রাণকর্তা হিসেবে আবির্ভূত হয়েছেন ড. কামাল হোসেনরা। এইসব ব্যক্তি স্বাধীনতাবিরোধী, যুদ্ধাপরাধীদের সংগঠন, আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত সন্ত্রাসী সংগঠন, দুর্নীতিবাজ সংগঠন, আগুন সন্ত্রাস, এতিমের টাকা আত্মসাতকারী, বঙ্গবন্ধুকে হত্যাকারী ও চার নেতার খুনিদের পক্ষ অবলম্বন করছেন।
সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের উত্তরে নানক বলেন, জোটের শরিক দলগুলোকে জনগণের সঙ্গে সেতুবন্ধন তৈরি করা এবং সম্পৃক্ত হওয়ার জন্য যেসব আসনে সমঝোতা হয়েছে তার বাইরে অন্য আসনগুলো উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে। যেন তারা জনগণের সঙ্গে সম্পৃক্ত হতে পারে, সেতুবন্ধন তৈরি করতে পারে।
আরেক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, আগামী লীগের কোনো বিদ্রোহী প্রার্থী ছিলো না। যারা স্বতন্ত্র দাঁড়িয়েছিলো তাদের প্রায় সবাই প্রত্যাহার করে নিয়েছে। আগামী ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসের পর আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহার প্রকাশ করা হবে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, বি এম মোজাম্মেল হক, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন, কার্যনির্বাহী সদস্য আখতারুজ্জামান, ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, উপ-দপ্তর সম্পাদক ব্যরিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১০, ২০১৮
এসকে/এইচএ/