মঙ্গলবার (১৮ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর হোটেল প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁওয়ে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারে এ ঘোষণা দেওয়া হয়।
ইশতেহার ঘোষণা করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শেখ হাসিনা বলেন, সংবিধান অনুযায়ী সব নাগরিকের স্বাধীনভাবে ধর্ম পালনের অধিকার সুনিশ্চিত করা হবে। ধর্ম যার যার, উৎসব সবার- এ নীতি সমুন্নত রাখা হবে। অসাম্প্রদায়িক চেতনায় বাংলাদেশের সমাজ গড়ে তোলা হবে।
তিনি বলেন, কোরান-সুন্নাহ বিরোধী কোনো আইন করা হবে না। সারাদেশে ৫৬০টি মসজিদ-কাম-ইসলামী কালচারাল সেন্টার নির্মাণ করা হচ্ছে।
আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, বাঙালি সংস্কৃতির অসাম্প্রদায়িক ও গণতান্ত্রিক ঐতিহ্য সংরক্ষণ ও বিকাশে আওয়ামী লীগ সরকারের অনুসৃত নীতি ও কর্মপরিকল্পনা অব্যাহত থাকবে। বাংলা ভাষা, সাহিত্য, চারু ও কারুকলা, সঙ্গীত, যাত্রা, নাটক, চলচ্চিত্র এবং সৃজনশীল প্রকাশনাসহ শিল্পের সব শাখার ক্রমাগত উৎকর্ষ সাধন ও চর্চার ক্ষেত্রকে প্রসারিত করার জন্য রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতা বাড়ানো হবে।
জাতীয় সংখ্যালঘু কমিশন করা হবে
শেখ হাসিনা বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তিচুক্তির যেসব ধারা এখনও বাস্তবায়িত হয়নি, সেগুলো বাস্তবায়নের উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ভূমিতে প্রকৃত সত্ত্বাধিকারীদের অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা হবে।
তিনি বলেন, জাতীয় সংখ্যালঘু কমিশন গঠন করা হবে। সংখ্যালঘু ও ক্ষুদ্র নৃ-জাতিগোষ্ঠীর প্রতি বৈষম্যমূলক সব প্রকার আইন ও ব্যবস্থার অবসান করা হবে।
এতে সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, শিক্ষক, প্রকৌশলী, বুদ্ধিজীবী, তরুণ সমাজের প্রতিনিধি, ঢাকায় নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও কূটনীতিক, দেশি-বিদেশি সাংবাদিকসহ বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন ইশতেহার প্রণয়ন কমিটির আহ্বায়ক ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক এবং দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৮, ২০১৮
এসকে/এমইউএম/এসএইচ