চাকা লাগানো নৌকাটি ব্যাটারিচালিত একটি ভ্যানের সঙ্গে যুক্ত করে সড়ক পথে চালানো হয়। এই নৌকায় রয়েছে রান্নাসহ মোবাইল চার্জের ব্যবস্থা।
সোমবার (১৫ এপ্রিল) বিকেলে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে হুমায়ুন কবির তার নৌকাটি নিয়ে অবস্থান করছিলেন।
এর আগে গত ৪ এপ্রিল (বৃহস্পতিবার) সকালে তিনিসহ মোট চারজন বরগুনা থেকে ঢাকার উদ্দেশে নৌকার করে যাত্রা শুরু করেন। ৮ এপ্রিল ( সোমবার) রাতে তিনি রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে পৌঁছান।
বর্তমানে তিনি তার নৌকাসহ ঢাকার বিভিন্ন সময় বিভিন্ন এলাকায় অবস্থান করেছেন। নৌকাতেই তাদের খাওয়া-দাওয়া আর থাকার ব্যবস্থা। নৌকায় থাকা স্পিকারে বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণ, জাতীয় নির্বাচনের গান, পদ্মাসেতুর গান এবং বিভিন্ন দেশাত্ববোধক গান বাজানো হচ্ছে সারাক্ষণ।
হুমায়ুন কবিরের সঙ্গে কথা বলে জানা যায় এই নৌকাটি বরগুনায় একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও পরবর্তীতে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রচারণার কাজে ব্যবহার করা হয়েছে। নৌকাটি বরগুনার সবার কাছেই অতি পরিচিত।
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কেন সাক্ষাৎ করতে চান? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বাংলানিউজকে বলেন, প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমার ব্যক্তিগত কোনো চাওয়া-পাওয়া নেই। আমি শুধু একবার তার সঙ্গে দেখা করতে ও আমার এই নৌকাটি বঙ্গবন্ধুকন্যাকে দেখাতে চাই। বরগুনার মানুষের জন্য দু’একটি কথা বলতে চাই প্রধানমন্ত্রীকে।
হুমায়ুন কবির আরও বলেন, যতোদিন আমি পারি ঢাকায় থাকবো। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ না করে আমি বরগুনায় ফিরে যাবো না। সাক্ষাৎ না করে ফির গেলে আমি বরগুনাবাসী কাছে কি জবাব দেবো?।
কিছুটা আক্ষেপ ও দুঃখ প্রকাশ করে তিনি বলেন, রাতে কোনোদিন ঝিগাতলায় আওয়ামী লীগের অফিসের সামনে, কোনোদিন গুলিস্তানের অফিসের সামনে থেকেছি। একেক দিন রাতে একেক জায়গায় নৌকার ভেতরেই ঘুমিয়েছি। কিন্তু দলের কোনো নেতাও আমার সঙ্গে দেখা করেননি।
বাংলাদেশের সময়: ১১৪৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৬, ২০১৯
আরকেআর/এএটি