ঢাকা, শনিবার, ১৫ আষাঢ় ১৪৩১, ২৯ জুন ২০২৪, ২১ জিলহজ ১৪৪৫

আওয়ামী লীগ

দেশের স্বার্থ বিকিয়ে শেখ হাসিনা বন্ধুত্ব করেন না: কাদের

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১১৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ৬, ২০১৯
দেশের স্বার্থ বিকিয়ে শেখ হাসিনা বন্ধুত্ব করেন না: কাদের

ঢাকা: দেশের স্বার্থ বিকিয়ে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কারো সঙ্গে বন্ধুত্ব করেন না বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

শনিবার (৫ অক্টোবর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় রাজধানীর খামারবাড়িতে ‘সনাতন সমাজকল্যাণ সংঘ’র (সসকস) শারদীয় সংকলন ‘ত্রিনয়নী’র উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, শেখ হাসিনার ভারত সফর সম্পর্কে নির্জলা মিথ্যা কথা বলছে বিএনপি।

তারা বলছে, প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর ব্যর্থ। দেশের জন্য তিনি কিছুই আনতে পারেননি। প্রধানমন্ত্রীর সফরের আগে আমরা কেউ বলিনি যে, তিস্তা চুক্তি হবে। গঙ্গা চুক্তি শেখ হাসিনা করেছেন, তিস্তা চুক্তিও শেখ হাসিনার আমলেই হবে।  

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ভারত সফরের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে তিনি বলেন, গঙ্গা চুক্তির ফলে আজকে বাংলাদেশ ৩৪ হাজার কিউসেক পানি পাচ্ছে। অথচ বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ভারত সফর শেষে বাংলাদেশের এয়ারপোর্টে নেমে তিনি সাংবাদিকদের বলেছিলেন, গঙ্গা পানি চুক্তির কথা বলতে ভুলে গেছেন। শেখ হাসিনা কিছুই ভোলেন না। বাংলাদেশের পাওনার সব বিষয় শেখ হাসিনা উত্থাপন করেছেন।

সেতুমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ থেকে ভারতের সাতটি রাজ্যে এলপিজি গ্যাস যাবে। যার ফলে বাংলাদেশের প্রচুর আয় হবে। অন্যদিকে চুক্তি হয়েছে ভারত বাংলাদেশের চট্টগ্রাম ও মংলা বন্দর ব্যবহার করবে। যার ফলে ভারত থেকে প্রচুর আয় হবে। তাই ভারত সফর থেকে কিছুই পাইনি এমন কথায় কেউ বিভ্রান্ত হবেন না। আমরা শুধু দিয়ে আসিনি, ভারতের কাছ থেকে নিয়েও এসেছি। তিস্তা পানি চুক্তির ব্যাপারেও অগ্রগতি হয়েছে।  

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, পৃথিবীর কোনো দেশে ছিটমহল সমস্যার সম্পূর্ণ সমাধান হয় না। ভারতের সঙ্গে শেখ হাসিনার বাস্তবায়ন আমাদের বড় পাওয়া। সমুদ্রসীমা নির্ধারণের বিষয়ে আন্তর্জাতিক আদালতের রায় মেনে নিয়েছে ভারত। ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য ঘাটতিও এখন অনেক কমে গেছে। ভারতের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক থাকার কারণেই এটা সম্ভব হয়েছে। বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের কারণে যে কোনো কঠিন বিষয়ের সমাধান সম্ভব।  

প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরের কথা উল্লেখ করে মন্ত্রী আরও বলেন, ভারতের সঙ্গে অমীমাংসিত বিষয়গুলোর মীমাংসা হচ্ছে। এখন পর্যন্ত যে বিষয়গুলোর সমাধান হয়নি, ভবিষ্যতে সেইগুলোর সমাধান হবে। আপনারা প্রধানমন্ত্রীর ওপর আস্থা ও বিশ্বাস রাখবেন। আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের স্বার্থ কারো কাছে বিকিয়ে দিয়ে বন্ধুত্ব করবেন না। সব সময় বাংলাদেশের স্বার্থকে ঊর্দ্ধে রেখেই সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।  

সনাতন ধর্মাবলম্বীদের শারদীয় শুভেচ্ছা জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, নাগরিক হিসেবে বাংলাদেশের মুসলিম জনগোষ্ঠীর যেই অধিকার, সনাতন ধর্মাবলম্বীরাও সেই একই অধিকার পায়। মুসলমান ধর্মের ভাইদেরকেও আমি বলব, আপনারা পূজামণ্ডপের পাশে দাঁড়িয়ে মণ্ডপ পাহারা দেবেন। তাদেরকে পূজা করতে সহযোগিতা করবেন। কেউ যেন শত্রুতা করতে না পারে। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরাও সহোযোগিতা করছেন। আমাদের দেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বন্ধন অটুট রয়েছে। ভবিষ্যতেও থাকবে।  

প্রধান অতিথির আলোচনা শেষে তিনি শারদীয় পূজার সংকলন ত্রিনয়নী উদ্বোধন করেন।  

এর আগে খামারবাড়ি পূজামণ্ডপে উপস্থিত হলে ওবায়দুল কাদেরকে ফুলের শুভেচ্ছা এবং উত্তরীয় পরিয়ে বরণ করে নেওয়া হয়।  

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী কৃষিবিদ মশিউর রহমান হুমায়ুন।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সনাতন সমাজকল্যাণ সংঘের সভাপতি কৃষিবিদ সমীর চন্দ। স্বাগত বক্তব্য দেন সাধারণ সম্পাদক বাবু শশাঙ্ক কুমার মজুমদার।  

বাংলাদেশ সময়: ২১১৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৫, ২০১৯ 
আরকেআর/এসএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।