জানা যায়, জুলাই মাস থেকে দেশব্যাপী দলের এ সদস্য সংগ্রহ কার্যক্রম শুরু হয়। টানা চার মাস ধরে এ কার্যক্রম চললেও এখন পর্যন্ত জেলা বিএনপির দলীয়ভাবে এ কর্মসূচি শুরু করতে পারেনি।
জেলা বিএনপির অন্তর্গত কয়েকটি থানা আলাদাভাবে স্থানীয় নেতাদের দিয়ে এ কার্যক্রম শুরু করলেও জেলা বিএনপির পক্ষ থেকে কোনো থানা, ইউনিয়নে এ কার্যক্রম শুরু করতে পারেনি। তবে সোনারগাঁ থানা বিএনপির কর্মসূচিকেই জেলা বিএনপি নিজেদের সদস্য সংগ্রহ অনুষ্ঠান বলেই সব এলাকায় জাহির করে চলছেন।
জেলার অন্তর্গত সোনারগাঁ থানা বিএনপির পক্ষে থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আজহারুল ইসলাম মান্নান, ফতুল্লা থানা বিএনপির পক্ষে উপজেলা চেয়ারম্যান ও জেলা বিএনপির সহ সভাপতি আজাদ বিশ্বাস, সিদ্ধিরগঞ্জ থানার পক্ষে সাবেক সংসদ সদস্য গিয়াসউদ্দিন, রূপগঞ্জ থানা বিএনপির পক্ষে কেন্দ্রীয় বিএনপির সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান ভূঁইয়া দিপু, আড়াইহাজার থানার পক্ষে কেন্দ্রীয় বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদ দলের এ কার্যক্রম পরিচালনা করেছেন।
প্রত্যেকেই নিজ নিজ উদ্যোগে দলের থানার নেতাকর্মীদের নিয়ে এ কার্যক্রম করেছেন। কিন্তু এতে জেলা বিএনপির কোনো দিক নির্দেশনা বা তাদের সহায়তা ছিলনা বলে জানান তারা।
জেলা বিএনপির পক্ষে জেলা বিএনপির সভাপতি কাজী মনিরুজ্জামান তার নিজ এলাকা রুপগঞ্জের একটি ইউনিয়নে দলের এ কার্যক্রম পরিচালনা করেছেন। আর দলের সাধারণ সম্পাদকও সিদ্ধিরগঞ্জের একটি স্থানে তার অনুগত কয়েকজন নেতাকর্মীকে নিয়ে এ কাজটি করেছেন।
জেলা বিএনপির শীর্ষ দু’জন নেতার আহেন আচরণে দলের সাধারণ নেতাকর্মী থেকে শুরু করে প্রতিটি থানা নেতাকর্মীরাও নাখোশ। দলের নেতাদের কাছে এমন কার্যক্রম করে শুধুমাত্র দায় এড়ানো ছাড়া আর কোনো কোনো উদ্দেশ্য ছিলো না নেতাদের। থানা নেতাদের কাছে সদস্য বইও পাঠাননি নেতারা। দলের জেলার অনেক নেতার সঙ্গেও এনিয়ে কোনো আলোচনাই করেননি সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক।
এদিকে জেলা বিএনপির পদধারী নেতা ছাড়াও কেন্দ্রীয় নেতা ও সাবেক সংসদ সদস্যরাও দলের সদস্য সংগ্রহ ফর্ম বই এনে নিজেরা আলাদাভাবে এ কার্যক্রম পরিচালনা করেছেন। কারণ জেলা বিএনপি দলের সদস্য সংগ্রহ কার্যক্রম না করাতে দলের নেতাকর্মীরা কিছুটা হতাশায় ছিলো আর এ কারণেই নেতারা নিজ উদ্যোগে এ কার্যক্রম শুরু করেছেন।
জেলা বিএনপির একজন সাংগঠনিক সম্পাদক বাংলানিউজকে জানান, তিনি নিজেই দলের সদস্য সংগ্রহ অভিযানের ফর্ম পাননি। তিনি নিজেই যেহেতু পাননি সেহেতু দলের সদস্য সংগ্রহের বর্তমানে কি অবস্থা সেটি তিনি বলতে পারছেন না।
জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মামুন মাহমুদ জানান, দলের কার্যক্রম চলছে। শেষ হওয়ার আগ পর্যন্ত কত সদস্য হয়েছেন তা বলা যাবেনা। তবে নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে তিনি আশাবাদী।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৮, ২০১৭
এএটি/