বৃহস্পতিবার (১২ অক্টোবর) দুপুরে মামলার ছয় আসামির উপস্থিতিতে পটুয়াখালীর অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মো. আল আমিন এ রায় দেন।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০০২ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি আসামিরা মির্জাগঞ্জ উপজেলার মির্জাগঞ্জ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি মোকলেছুর রহমান কাজী ওপর হামলা চালায়।
২০০৭ সালের ৭ এপ্রিল ১৪ জন আসামির বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দাখিল করেন মির্জাগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. মহাবুবুল আলম।
সব সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত আসামিদের মধ্যে সেলিম খান, শাহ নেওয়াজ ও রাসেল খানকে সাত বছরের কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেন।
এছাড়া পলাশ হাওলাদার ও লাভলু জোমাদ্দারকে দুই বছরের কারাদণ্ড এবং মনির খন্দকার, বাবুল চৌধুরী, জুয়েল খান, দেলোয়ার খান, হাবিব হাওলাদার, জব্বার হাওলাদার, লিটন ওরফে লিটু, মিজানুর রহমান ব্যাপারী ও মিলন ব্যাপারীকে নয় মাস করে কারাদণ্ড দেন আদালত।
দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা পটুয়াখালী জেলা ও মির্জাগঞ্জ উপজেলা বিএনপির বিভিন্ন পদের নেতাকর্মী।
রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করনে অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) সৈয়দ মোসহিন।
এদিকে আসামি পক্ষের আইনজীবী মজিবুর রহমান টোটন দাবি করেন, রাজনৈতিক বিবেচনায় আসামিদের এই মামলায় সাজা দেওয়া হয়েছে। আমরা ন্যায় বিচার বঞ্চিত হয়েছি।
ন্যায় বিচারের স্বার্থে উচ্চ আদালতে আপিল করা হবে বলেও জানান এই আইজীবী।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৫৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ১২, ২০১৭
এমএস/জিপি