শনিবার (১১ নভেম্বর) দুপুরে দলের নয়াপল্টনস্থ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা জানান।
মির্জা ফখরুল বলেন, সরকার জনসভার সম্মতি ইতোপূর্বে না দিলেও কিছুক্ষণ আগে ডিএমপি থেকে অনুমতিপত্র হাতে পেয়েছি।
বিকল্প উপায় নেই বলেই সরকার অনুমতি দিতে বাধ্য হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
যে কোন শর্তেই বিএনপি সমাবেশ করবে জানিয়ে ফখরুল বলেন, খালেদা জিয়ার ম্যাসেজ জনগণের কাছে পৌছে দিতেই এই সমাবেশ।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের সমালোচনা করে ফখরুল ইসলাম বলেন, ওবায়দুল কাদেরের সমালোচনা মিথ্যা ও বানোয়াট। ভিত্তিহীন তথ্য না দিয়ে গণতন্ত্রের পক্ষে নিয়ে আসার জন্য সরকারকে সহযোগিতা করুন। উসকানি দিয়েন না।
যে সব শর্তে জনসভার অনুমতি
যে সব শর্তে বিএনপিকে সমাবেশের অনুমতি দেওয়া হয়েছে সেগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- উস্কানিমূলক বক্তব্য বা প্রচারপত্র বিলি করা যাবে না, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউশন সংলগ্ন স্থানে যাবতীয় কার্যক্রম সীমাবদ্ধ রাখতে হবে, অনুমোদিত স্থানের বাইরে সাউন্ডবক্স ব্যাবহার করা যাবে না, অনুমোদিত স্থানের বাইরে রাস্তায় বা ফুটপাতে লোক সমাগম করা যাবে না, মিছিল সহকারে সমাবেশ স্থলে আসা যাবে না, শর্তাবলী যথাযথভাবে পূরণ না করলে তাৎক্ষনিকভাবে অনুমতির আদেশ বাতিল বলে গণ্য হবে প্রভৃতি।
সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, মির্জা আব্বাস, ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমান, আহম্মেদ আজম খান, নিতাই রায় চৌধুরী, সিনিয়র যুগ্মমহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্মমহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, হাবিব উন নবী খান সোহেল প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১২৩০ ঘণ্টা, নভেম্বর ১১, ২০১৭
জেডএম/