মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) মজলুম জননেতা ভাসানীর জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে সোমবার (১১ ডিসেম্বর) এক বাণীতে বিএনপি প্রধান এ মন্তব্য করেন।
ভাসানীর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে এবং তার বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করে খালেদা বিবৃতিতে বলেন, ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক আমল থেকে শুরু করে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম এবং দেশের গণতন্ত্র ও স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষায় দেশপ্রেমিক মজলুম জননেতা মরহুম মওলানা ভাসানীর অবদান নিঃসন্দেহে স্মরণীয়।
মওলানা ভাসানী নিপীড়িত-নির্যাতিত মানুষের ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে সব সময় আপোষহীন নেতৃত্বের ভূমিকায় থেকেছেন জানিয়ে খালেদা জিয়া বলেন, দেশ ও জনগণের জন্য নিবেদিতপ্রাণ মরহুম ভাসানীর বলিষ্ঠ ও সাহসী ভূমিকা আমাদের চিরদিন একটি শক্তিশালী এবং আত্মনির্ভশীল দেশ ও সমাজ বিনির্মাণে প্রেরণা ও উৎসাহ যোগাবে।
‘তার প্রদর্শিত পথ ধরে চলতে পারলেই একদলীয় স্বৈরাচারী শাসনের বিরুদ্ধে বহুদলীয় গণতন্ত্রের অভীষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছাতে কোনো কঠিন বাধাই আমাদের পথ আগলাতে সক্ষম হবে না। ’
দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব বর্তমানে চরম সংকটাপন্ন দাবি করে বিএনপি চেয়ারপারসন বলেন, গণতন্ত্রকে অতল গহ্বরে পাঠানো হয়েছে। আধিপত্যবাদ আজও ডানা বিস্তার করে রেখেছে। ৫ জানুয়ারির ‘তামাশার নির্বাচন’ করে গণতন্ত্রবিনাশী উৎপীড়ক শাসকশ্রেণী জনমতকে রক্তাক্ত পন্থায় দমন করে ক্ষমতা জবরদখল করে রেখেছে।
মওলানা ভাসানীকে জাতীয় স্বাধীনতার প্রথম তুর্যবাদক হিসেবে অভিহিত করে বিএনপি প্রধান বলেন, তার উদ্যম ও সাহসিকতাকে আঁকড়ে ধরে রাখতে পারলেই আগ্রাসী শক্তিকে আমরা রুখতে সক্ষম হবো ইনশাল্লাহ।
পৃথক বাণীতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, মওলানা ভাসানী ছিলেন আফ্রো-এশিয়া, লাতিন আমেরিকার নির্যাতিত-নিপীড়িত মানুষের বলিষ্ঠ কণ্ঠস্বর। তাঁর কণ্ঠে উচ্চারিত হতো বঞ্চিত মানুষের অধিকার আদায়ের দাবি। তিনি ছিলেন মজলুমের বন্ধু, সাম্রাজ্যবাদ, আধিপত্যবাদ এবং অত্যাচারী শাসক ও শোষক গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে এক আপোষহীন যোদ্ধা।
ফখরুল বলেন, স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব এবং গণতন্ত্র সুরক্ষায় মওলানা ভাসানী যুগ যুগ ধরে আমাদের প্রেরণা জোগাবেন এবং দেশ প্রেমে উদ্বুদ্ধ করবেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১১, ২০১৭
এইচএ/