সোমবার (১২ মার্চ) সকালে রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে এ প্রশ্ন তোলেন মির্জা ফখরুল।
তিনি বলেন, সমাবেশের জন্য সাধারণত অনুমতি নিতে হতো না, শুধু অবহিত করলেই হতো।
এ সময় শেরে বাংলা নগর, পল্টন ময়দান, মুক্তাঙ্গনসহ রাজধানীর বেশ কয়েকটি সভাস্থলের নামও উল্লেখ করেন মির্জা ফখরুল।
বিএনপির মহাসচিব আরো বলেন, আমরা আশা করেছিলাম সাময়িক বেকায়দায় ফেলে হয়তো এক ঘণ্টা আগে অনুমতি দেবে। আমরা জনসভার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। লিফলেট বিতরণ, পোস্টারিং ও নেতা-কর্মীদের সঙ্গে বৈঠক করেছি। সম্প্রতি সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি, ওয়ার্কার্স পার্টিসহ অন্যান্য দলও সমাবেশ করেছে; অথচ বিএনপিকে অনুমতি দেওয়া হয়নি।
সরকার সম্পূর্ণ জনবিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে মন্তব্য করে মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা ফেব্রুয়ারি মাসে জনসভার অনুমতি চেয়েছিলাম, তারা বইমেলার দোহাই দিয়ে বললো মার্চ মাসে করতে পারবেন। এখন মার্চ মাসে করতে গিয়ে গতকাল (রোববার) ডিএমপি কমিশনার বলেছেন, নিরাপত্তাজনিত কারণে জনসভার অনুমতি দেওয়া হয়নি। এভাবে সরকার গণতন্ত্র চর্চার পথ বন্ধ করে দিচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, ভাইস চেয়ারম্যান আহমেদ আযম খান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আতাউর রহমান ঢালী, সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, সহ-দপ্তর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপু, বেলাল আহমেদ প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১২২০ ঘণ্টা, মার্চ ১২, ২০১৮
এএম/এমজেএফ