বুধবার (২৮ মার্চ) বিকেলে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান।
এর আগে তিন দফায় সমাবেশের ঘোষণা দিয়েও অনুমতি পায়নি দলটি।
রিজভী জানান, খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে ঢাকায় বিএনপির পক্ষ থেকে ১২ ও ১৯ মার্চ জনসভা করতে পুলিশের অনুমতির জন্য আবেদন করা হয়েছিল। কিন্তু সরকারের নির্দেশে নিরাপত্তার অজুহাতে বিএনপিকে জনসভার অনুমতি দেয়নি ডিএমপি। এরপর আবারও ২৯ মার্চে সমাবেশ করতে বেশ কয়েকদিন আগে বিএনপি’র পক্ষ থেকে আবেদন করা হয়।
মঙ্গলবার দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খানের নেতৃত্বে বিএনপির একটি উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেছেন উল্লেখ করে রিজভী বলেন, বৈঠকের পর আমরা বিশ্বাস করতে চেয়েছিলাম সরকার জনসভার অনুমতি দিবে। কিন্তু স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী গতকালই সাংবাদিকদের বলেছেন- গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে জনসভার অনুমতি দিবে পুলিশ। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্যে এটা প্রমাণিত হয়েছে দেশ চালাচ্ছে পুলিশ। আওয়ামী লীগ ক্ষয়িষ্ণু রাজনৈতিক শক্তিতে পরিণত হয়েছে বলেই দেশটা এখন পুলিশের কব্জায়।
তিনি আরো বলেন, সোহরাওয়ার্দীতে জনসভার অনুমতির জন্য অপেক্ষা করলেও এখন পর্যন্ত আমরা জনসভার অনুমতি পাইনি। বিএনপির শান্তিপূর্ণ সমাবশের অনুমতি না দেওয়া স্বৈরাচারি আচরণেরই বহিঃপ্রকাশ। অন্যদিকে ২৪ মার্চ গণতন্ত্র হত্যার দিনে সরকার প্রধানের পৃষ্ঠপোষকতায় জাতীয় পার্টিকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করতে দেয়া হয়েছে। এই ঘটনায় গণতন্ত্রকে অপমানিত ও লাঞ্ছিত করা হলো। এছাড়াও সম্প্রতি আওয়ামী জোটের ছোট ছোট আরো অনেক দলকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩২ ঘণ্টা, মার্চ ২৮, ২০১৮
এসএইচ