নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সঙ্গে দেড় ঘণ্টাব্যাপী বৈঠকের পর রোববার (১৩ মে) সন্ধ্যায় তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
খুলনা সিটি করপোরেশন (কেসিসি) নির্বাচনের সার্বিক পরিস্থিতি তুলে ধরতে বিকেল সোয়া চারটার দিকে নজরুল ইসলাম খানের নেতৃত্বে বিএনপির একটি প্রতিনিধি দল ইসিতে যায।
নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘গত ১০ মে আমরা পুলিশ প্রশাসনের হয়রানি সম্পর্কে অবহিত করেছিলাম। সেদিন তারা বলেছিলেন ব্যবস্থা নেবেন। কিন্তু দুঃখের বিষয় আজ আবার আসতে হলো। নির্বাচনে এখন প্রতিকূল পরিবেশ’।
তিনি বলেন, পুলিশ আমাদের নেতাকর্মীদের বাড়িতে গিয়ে ভাঙচুর করছে। ধরে নিয়ে যাচ্ছে। শনিবার থেকে আজ দুপুর পর্যন্ত ৪২ জন নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতারের প্রবণতা আরও বেড়ে গেছে। মহিলা পুলিশ আমাদের কর্মীদের বাড়িতে গিয়ে মহিলা এজেন্টদের ধমক দেয়। পুরুষ পুলিশ পুরুষ কর্মীদের ধমক দেয়। এখন আমাদের এজেন্ট পরিবর্তন করতে হচ্ছে।
বিএনপির এ নেতা বলেন, আজকে পুরো কমিশন ছিল। আমরা তাদের বলেছিলাম অতি উৎসাহী পুলিশ কর্মকর্তাদের বদলি করতে। কিন্তু এতো অল্প সময়ে তা সম্ভব না হলে যেন বাধা প্রদান, গ্রেফতার, হয়রানি, বাড়িতে গিয়ে ভাঙচুর বন্ধের ব্যবস্থা করে। কমিশন ব্যবস্থা নেবে বলে জানিয়েছে। আমরা সে বিশ্বাস নিয়ে ফিরে যাচ্ছি।
তারাও একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন চায় বলে জানিয়েছে। এ কথাগুলো শুনতে খুব স্বস্তিদায়ক। কিন্তু পরে যা ঘটে তা স্বস্তিদায়ক নয়।
‘সিইসি বলেছেন যাদের বিরুদ্ধে মামলা আছে তাদের গ্রেফতার করা হচ্ছে বলে প্রশাসন জানিয়েছে। কিন্তু মামলা ছাড়া বিএনপির নেতাকর্মী পাওয়া দুষ্কর হবে। এ সরকারের আমলে এমন কোনো নেতাকর্মী নেই, যাদের বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া হয়নি। তবে মামলা থাকলেই তো গ্রেফতার করা যায় না। গ্রেফতারি পরোয়ানা থাকলে গ্রেফতার করতে হবে’, যোগ করে নজরুল ইসলাম খান।
আগামী ১৫ মে (মঙ্গলবা) খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২০৩২ ঘণ্টা, মে ১৩, ২০১৮
ইইউডি/জেডএস