সোমবার (১৪ মে) রাত ৯টায় গুলশানে দলীয় চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে জরুরি সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আজ বিকেলে ১০ দিন পর খালেদা জিয়ার পরিবারের সদস্যরা কারাগারে তার সঙ্গে দেখা করার অনুমতি পান।
মহাসচিব বলেন, ‘অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে জানাচ্ছি তার শারীরিক অবস্থা বেশ খারাপের দিকে। আগের চেয়ে তার শারীরিক অবস্থা বেশ খারাপ। তার সুচিকিৎসা প্রয়োজন। ’
মির্জা ফখরুল বলেন, এই ধরনের জাতীয় নেতার চিকিৎসায় সরকারের অবহেলা মেনে নেওয়া যায় না। সরকারের আসল উদ্দেশ্য কী? কেন তারা তার সুচিকিৎসার জন্য যেতে দিচ্ছেন না। সরকারের উদ্দেশ্য নিয়ে আমাদের সন্দেহ আছে। খালেদা জিয়ার চিকিৎসার দায়িত্ব সরকারের। তার কিছু হলে সরকারকে দায় নিতে হবে।
এ সময় দলের ভাইস চেয়ারম্যান চিকিৎসক নেতা ডা. এজেড এম জাহিদ হোসেন বলেন, ‘খালেদা জিয়ার পরিবারের সদস্যরা আজ সন্ধ্যায় আমাকে ম্যাডামের স্বাস্থ্যের কথা জানিয়েছেন। ম্যাডাম গত সাতদিন ধরে জ্বরে আক্রান্ত। প্রতিদিন রাতে জ্বর আসছে। কাপুনি দিয়ে জ্বর আসছে। ডান চোখ অনেক লাল হয়ে গেছে, ফুলে গেছে। ঘাড়ের ব্যথা বাম হাতের তালু পর্যন্ত নেমে এসেছে। হাত দিয়ে শক্ত কিছু ধরলে ঝিন ঝিন করে। কোমরের পেইন পায়ে নেমে এসেছে। কারো হেল্প ছাড়া ব্যক্তিগত কাজ কর্ম করতে পারছেন না।
সংবাদ সম্মেলনে খালেদা জিয়ার দু'জন ব্যক্তিগত চিকিৎসক প্রফেসর সিরাজউদ্দীন আহমেদ এবং প্রফেসর আব্দুল কুদ্দুসও কথা বলেন। তারা চেয়ারপারসনের স্বাস্থ্য নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেন।
এ সময় অন্যদের মধ্যে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ‘ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ড. আব্দুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়াল মিন্টু, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, চেয়ারপারসনের প্রেস উইং সদস্য শায়রুল কবীর খান উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ০০২৩ ঘণ্টা, মে ১৪, ২০১৮
এমএইচ/এএটি