তিনি বলেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন তাদের কাছে তালিকা আছে। তাহলে এই অভিযান আগে থেকে চালিয়ে মাদক নিয়ন্ত্রণে আনতে পারেনি কেন? কারণ হলো এই মাদক ব্যবসায় তাদের নেতারা জড়িত।
শুক্রবার (২৫ মে) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে এক প্রতিবাদী নাগরিক সভায় এসব কথা বলেন মওদুদ। খালেদা জিয়া মুক্তি পরিষদ এ সভার আয়োজন করে।
গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন প্রসঙ্গে মওদুদ আহমদ বলেন, খুলনায় জনগণের নির্বাচন হয়নি। পুলিশি নির্বাচন হয়েছে। প্রায় ১০০ কেন্দ্রে আমাদের এজেন্টরা দাঁড়াতে পারেননি। এখন তারা খুলনা স্টাইলে গাজীপুরেও নির্বাচন করতে চায়। তারা যদি সে চেষ্টা করে এবার আমরা সর্বোচ্চ শক্তি দিয়ে সেটা প্রতিহত করার চেষ্টা করবো। আমরা সর্বোচ্চ শক্তি দিয়ে তাদের বাধা দেব।
নির্বাচন কমিশনের সমালোচনা করে তিনি বলেন, এরা সরকারের একটি তল্পিবাহক নির্বাচন কমিশন। সরকার যা চাইবে তারা তাই করবে। আচরণবিধি পরিবর্তন করছে, এখন সংসদ সদস্যরা প্রচারণা চালাতে পারবে। সংসদ সদস্য মানে তো আওয়ামী লীগের। এরা যেন প্রচারণা চালাতে পারে! এর দুরভিসন্ধিমূলক লক্ষ্য আছে। তারা আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে এটি করেছে। তারা সংসদ রেখে আগামী নির্বাচন করতে চায়। তাই এই নিয়ম রেখেছে। সংসদ সদস্য থেকেই নির্বাচনী প্রচারণা চালানোর জন্য করেছে।
সভায় খালেদা জিয়ার মুক্তি নিয়ে কথা বলে বিএনপির এই নীতিনির্ধারক। তিনি বলেন, সর্বোচ্চ আদালত জামিন দেয়ার পর কি আর কোনো কথা থাকে? যদি তার বিরুদ্ধে আরও কয়েকটি মামলা থাকেও সেটাও দুই এক দিনেই জামিন হয়ে যায়। কিন্তু নিম্ন আদালতের বিচারকরা সরকার যা চাইবে তাই করবে।
আইন আদালত ও শান্তিপূর্ণ কোনো কর্মসূচির মাধ্যমে খালেদা জিয়ার মুক্তি সম্ভব নয় জানিয়ে মওদুদ বলেন, আন্দোলন ছাড়া জনগণের কোনো দাবি আদায় হয়নি। খালেদা জিয়াকে মুক্ত করার একমাত্র পথ রাজপথ। রমজান মাসের পরে আমাদের কঠোর কর্মসূচির কথা চিন্তা করতে হবে। আর সেভাবেই খালেদা জিয়াকে মুক্ত করা হবে।
তিনি আরও বলেন, আমাদের আন্দোলন গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার আন্দোলন। এটি অব্যাহত থাকবে। আমরা বর্তমান অবস্থার অবসান চাই। এমন কোনও ক্ষেত্র নেই যেখানে সম্পূর্ণভাবে নৈরাজ্য বিরাজ করছে না। কোনো জবাবদিহিতা নেই। ভয়ংকর একটি অবস্থা। এই অবস্থার অবসান চায় দেশের মানুষ।
প্রধানমন্ত্রীর পশ্চিমবঙ্গ সফর প্রসঙ্গে মওদুদ বলেন, আমরা আশা করবো প্রধানমন্ত্রী খালি হাতে ফিরবেন না। তিনি তিস্তার পানি চুক্তি বাস্তবায়ন করেই ফিরবেন। আর না হলে আমরা বলবো তিনি ব্যর্থ হয়েছেন।
আয়োজক সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মিজানুর রহমান চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রতিবাদী নাগরিক সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন- বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, স্বনির্ভর বিষয়ক সম্পাদক শিরীন সুলতানা, নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মুহম্মদ রহমাতুল্লাহ প্রমুখ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির বেপারী।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৬ ঘণ্টা, মে ২৫, ২০১৮
এমএইচ/এমজেএফ