তিনি বলেছেন, গণমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে একজন নির্বাচন কমিশনার সংশোধনীর বিরুদ্ধে নোট অব ডিসেন্ট (ভিন্নমত প্রকাশ) দিলেও প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) সরকারি দলের নুন খাওয়ার অমর্যাদা করেননি।
শনিবার (২৬ মে) বেলা সাড়ে ১১টায় নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে রিজভী বক্তব্য রাখছিলেন।
তিনি বলেন, সিটি করপোরেশন নির্বাচনে সংসদ সদস্যদের প্রচার-প্রচারণায় অংশগ্রহণের সুযোগ দিয়ে নির্বাচনী আচরণ বিধিমালা সংশোধন করেছে ইসি, যা গভীর ষড়যন্ত্রমূলক এবং ভোটের ময়দান ধ্বংসের শামিল। এর ফলে ভোটের মাঠে সমান সুযোগ থাকবে না। এটি ভোটারদের প্রতি চরম বিশ্বাসঘাতকতা।
রিজভী বলেন, সিইসি চান না দেশে কোনও অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হোক। এই নির্বাচনী আইন প্রণয়নের ফলে আইনের চোখে সবাই সমান থাকলো না। এটি সংবিধানের ২৬ অনুচ্ছেদের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।
মাদকবিরোধী অভিযানের নামে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী বিচার বহির্ভূতভাবে এখন পর্যন্ত প্রায় ৭৫ জনকে হত্যা করেছে উল্লেখ করে রিজভী বলেন, গত রাতেও ৫ জেলায় ৭ জনকে ‘ক্রসফায়ারে’ দেওয়া হয়েছে। গোটা দেশকে বধ্যভূমিতে পরিণত করতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে দিয়ে মাদক নির্মূলের নামে এক ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি তৈরি করা হয়েছে। এভাবে নির্বিচারে মানুষ হত্যা সবার জন্য রীতিমতো উদ্বেগ, ভয় ও বিপদের কারণ হতে পারে।
মাদক কারবারে কক্সবাজারের (টেকনাফ-উখিয়া) সংসদ সদস্য আবদুর রহমান বদিসহ আওয়ামী লীগের শত শত বড় নেতাকর্মীদের নাম গণমাধ্যমে ফলাও করে প্রচার হলেও এখন পর্যন্ত তাদের আইনের আওতায় আনা হয়নি বলেও অভিযোগ করেন বিএনপির এই নেতা।
তিনি বলেন, নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের আহবায়ক ও কাউন্সিলর মাকসুদ আলম খন্দকার হাইকোর্ট থেকে জামিন পাওয়ার পরও তিনবার তাকে কারাফটক থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তিনি রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হয়ে কারাবন্দী জীবন কাটাচ্ছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১২৩৫ ঘণ্টা, মে ২৬, ২০১৮
এমএইচ/এইচএ/