রোববার (২৭ মে) জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘বাংলাদেশে নজরুল চর্চার বর্তমান অবস্থা’ শীর্ষক এক আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ মন্তব্য করেন তিনি।
কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১১৯তম জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন ‘জাতীয় স্মরণ মঞ্চ’।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক এমাজউদ্দিন আহমেদ বলেন, বাংলাদেশের জাতীয়তাবাদকে আরো প্রাণবন্ত করতে হবে। আর এই প্রাণবন্ত করার জন্যই নজরুল চর্চা বাড়াতে হবে। তিনি জাতীয়তাবাদী শক্তিকে গতিশীল ও শক্তিশালী করতে নজরুল চর্চার ওপর জোর দেন।
তিনি বলেন, নজরুল এক বিস্ময়কর প্রতিভা। বাংলা সাহিত্যে এমন প্রতিভার আর দেখা মেলেনি। যখন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তার লেখা-জোখায় প্রতিষ্ঠিত। ঠিক সেই সময়ে নজরুল তার লেখনির শক্তি দ্বারা মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছিলেন। সেই থেকে তিনি আজও লেখনি শক্তির মাধ্যেমে দাঁড়িয়ে রয়েছেন। তিনি বলেন, আগামী দিনে বাংলাদেশে বড় পরিবর্তন আসছে। সেই পরিবর্তিত দিনে পরিপূর্ণ ভাবে নজরুলকে বিকশিত করা হবে বলে তিনি প্রত্যাশা করেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা কবি আবদুল হাই শিকদার বলেন, বাংলাদেশকে যদি দেহ বলে বিবেচনা করা যায়, তাহলে নজরুল বাংলাদেশের আত্মা। আর এই আত্মা ছাড়া দেহ সম্ভব নয়। তিনি বলেন, নজরুল চর্চা আরো বাড়াতে হবে। বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথের ওপর ৪০ হাজার ওয়েবসাইট রয়েছে। এর মধ্যে ১২ হাজার ওয়েবসাইট বাংলাদেশ থেকে হয়েছে। আর সেখানে নজরুলের ওপর ওয়েবসাইট হয়েছে মাত্র ৮টি। এ থেকেই বোঝা যায়, নজরুল চর্চা কিভাবে চলছে।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের যুগ্ম মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল অতিথির বক্তব্যে বলেন, এখন বাংলাদেশে কোনো নজরুল চর্চা নেই। দেশে এখন একটিই চর্চা হয়ে থাকে। সেটি হলো আপনা চর্চা। তিনি বলেন, কবি নজরুল ছিলেন মহীরুহ্। সাহিত্যের এমন কোনো শাখা নেই, যেখানে তিনি বিচরণ করেননি। কবি নজরুল ছিলেন অনন্য ও অনুসরণযোগ্য। এখনো তাকে অনুসরণ করার পরামর্শ দেন তিনি।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ‘জাতীয় স্মরণ মঞ্চ’-এর সভাপতি প্রকৌশলী আ হ ম মনিরুজ্জামান দেওয়ান মানিক। এতে আরো বক্তব্য রাখেন, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ইসমাইল হোসেন বেঙ্গল, কৃষিবিদ গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড, মোহাম্মদ আলী আফজাল, সাংবাদিক জাকির হোসেন, লেখক-গবেষক হাসান মনসুর প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪০ ঘণ্টা, ২৭ মে, ২০১৮
টিএ/এসএইচ