বুধবার (০৮ আগস্ট) বিকেলে আবেদনপত্রটি সিসিকের রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. আলীমুজ্জামানের কাছে হস্তান্তর করেন।
আবেদনে উল্লেখ করা হয়, স্থগিত হওয়া দু'টি কেন্দ্রে চার হাজার ৭শ’ ৪৭জন ভোটারের মধ্যে ১১৮ জন মারা গেছেন ও ১৮০ জন প্রবাসে রয়েছেন।
এর মধ্যে স্থগিত গাজী বোরহান উদ্দিন গরম দেওয়ান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ২ হাজার২২১ ভোটারের মধ্যে মারা গেছেন ৮০ জন ও প্রবাসে আছেন ৮০ জন।
হবিনন্দী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ২ হাজার ৫২৬ জন ভোটারের মধ্যে মারা গেছেন ৩৮ জন ও প্রবাসে আছেন ১শ’ জন।
অন্যদিকে আরিফুল হক চৌধুরীর বিজয়ী হতে প্রয়োজন ১৬১ ভোট। সে হিসাবে ওই দু’টি কেন্দ্রে পুনঃনির্বাচনের প্রয়োজনীয়তা আছে বলে মনে করেন না তিনি। এ জন্য পুনঃনির্বাচন না দিয়ে তাকে বিজয়ী ঘোষণার আহ্বান জানিয়েছেন।
এ ব্যাপারে রিটানিং কর্মকর্তা মো. আলীমুজ্জামান বাংলানিউজকে বলেন, আরিফুল হক চৌধুরী প্রধান নির্বাচন কমিশনার বরাবর চিঠি দিয়েছেন। তাকে অনুলিপি দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, নির্বাচনের গেজেট হয়ে গেলে ভোটার তালিকার ব্যাপারে কোনো আপত্তি চলে না। এটা বিধিতে সুস্পষ্ট। সিসিকের স্থগিত দু’টি কেন্দ্রে আগামী ১১ আগস্ট পুনঃনির্বাচনের দিন ধায্য করেছে নির্বাচন কমিশন।
মৃত ও প্রবাসী ভোটার সম্পর্কিত কোনো তথ্য তার কাছে নেই বলে জানিয়েছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. আলীমুজ্জামান।
গত ৩০ জুলাই সিসিক নির্বাচনে ১৩৪টি কেন্দ্রের মধ্যে ১৩২টি কেন্দ্রের ঘোষিত ফলাফলে বিএনপির মেয়র প্রার্থী আরিফুল হক চৌধুরী প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী বদর উদ্দিন আহমদ কামরানের চেয়ে ৪ হাজার ৬২৬ ভোটে এগিয়ে আছেন। ১৩২টি কেন্দ্রের ভোট গণনায় বিএনপির মেয়রপ্রার্থী আরিফুল হকের প্রাপ্ত ভোট ৯০ হাজার ৪৯৬। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের মেয়রপ্রার্থী বদর উদ্দিন আহমদ কামরানের প্রাপ্ত ভোট ৮৫ হাজার ৮৭০।
তবে স্থগিত দুই কেন্দ্রে ভোট সংখ্যা ৪ হাজার ৭৮৭। ফলে আরিফের বিজয়ী হতে প্রয়োজন আরও ১৬১ ভোটের।
সিলেট সিটি করপোরেশন মোট ভোটার সংখ্যা ৩ লাখ ৯১ হাজার ৭৩২ জন। এর মধ্যে ভোট দিয়েছেন ১ লাখ ৯৮ হাজার ৬৫৬ জন। তন্মধ্যে বৈধ ভোট ছিলো ১ লাখ ৯১ হাজার ২৮৯টি। বাতিল হয়েছে ৭ হাজার ৩৬৭টি ভোট।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫০ ঘণ্টা, আগস্ট ০৮, ২০১৮
এনইউ/ওএইচ/