বৃহস্পতিবার (৯ আগস্ট) নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে একথা বলেন তিনি।
রিজভী বলেন, ক্ষমতাপিপাসা কত তীব্র হলে শিক্ষামন্ত্রী মাসুম শিশু-কিশোরদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিতে পারেন।
দেশে নাকি নানা অশুভ খেলা চলছে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের এ বক্তব্যের জবাবে রিজভী বলেন, সাধারণ সম্পাদককে মনে করিয়ে দিতে চাই, দেশে অশুভ সরকার থাকলে জনগণ অঙ্গীকারাবদ্ধ হয়ে যে খেলায় অবতীর্ণ হয় তা প্রকাশ্য ও ন্যায়সঙ্গত। অশুভ সরকার ক্ষমতায় থাকলে তার বিরুদ্ধে দৃশ্যমান সমালোচনা, প্রতিবাদ, মিছিল-সমাবেশ হচ্ছে জনগণের পক্ষের শক্তির শুভ খেলা। এখানে কোন অদৃশ্য খেলা নেই। কোমলমতি ছাত্র-ছাত্রীদের আন্দোলন ন্যায্য ও বিবেক জাগানিয়া। তারা গোপন কিছু করেনি, তাদের আন্দোলন প্রকাশ্য ও জনসমর্থিত।
রিজভী বলেন, জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক সংস্থা ও মিডিয়া, উন্নয়ন সহযোগী দেশ শিক্ষার্থী ও সাংবাদিকদের ওপর ছাত্রলীগের হামলাকে সহিংস হামলা হিসেবে আখ্যায়িত করেছে। ছাত্রলীগ আন্তর্জাতিকভাবে টেরোরিস্ট হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। এখন প্রধানমন্ত্রী ও ওবায়দুল কাদের সাহেবরা সেই ছাত্রলীগ সন্ত্রাসীদের বাঁচাতেই হাসপাতালে ভর্তি দেখিয়ে তামাশা করছেন। তাদের বাঁচানোর পাঁয়তারা করছেন। কিন্তু এরা রেহাই পাবে না। তাদের এই সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের ভিডিও ও ছবি পরিচয়সহ যেমন দেশি-বিদেশি গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে, তেমনি তাদের কাছে সংরক্ষিত আছে।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব বলেন, নির্যাতিত আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন আলোকচিত্রী ড. শহিদুল আলমকে উচ্চ আদালত চিকিৎসার নির্দেশ দিয়েছেন, কিন্তু সরকারি প্রতিষ্ঠান বিএসএমএমইউ সরকারের হুকুমে তাকে ভর্তি নেয়নি। এরা কতটা নিষ্ঠুর যে, একজন নির্যাতনে অসুস্থ ব্যক্তির চিকিৎসার জন্য উচ্চ আদালতের আদেশের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ আদালতে আপিল করেছেন, যেন শহিদুল আলম হাসপাতালে সুচিকিৎসা না পান।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আতাউর রহমান ঢালী, বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ, সহ-দফতর সম্পাদক বেলাল আহমেদ, মুনির হোসেন, নির্বাহী কমিটির সদস্য রফিক সিকদার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১২৫৪ ঘণ্টা, আগস্ট ৯, ২০১৮
এমএইচ/এমজেএফ