মঙ্গলবার (২৭ নভেম্বর) গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয় থেকে তৈমুরকে নারায়ণগঞ্জ-১ (রূপগঞ্জ) আসন থেকে ও খোরশেদকে নারায়ণগঞ্জ-৫ (সদর-বন্দর) আসন থেকে মনোনয়নের চিঠি দেওয়া হয়।
দুই ভাই-ই একসঙ্গে চিঠি সংগ্রহ করে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয় বের হন।
অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকার নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ছিলেন। নারায়ণগঞ্জ বিএনপির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলায় তাদের পক্ষ হয়ে হাইকোর্টে মামলা পরিচালনা করেন তিনি।
মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ বিএনপির কাউন্সিলর হিসেবে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ১৩ নং ওয়ার্ডে পর পর তিনবার সর্বোচ্চ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। খালেদা জিয়ার অরফানেজ ট্রাস্ট মামলার রায়ের আগে থেকেই তিনি ৫ আসন কেন্দ্রিক প্রচারণা শুরু করেন। পরে রায়ের পর একাধিক নাশকতা ও বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলায় আসামি হয়ে আত্মগোপনে চলে গেলে বন্ধ হয়ে যায় তার প্রচারণা।
তৈমুর আলম খন্দকার জানান, এবারের নির্বাচন হবে আমাদের জন্য যুদ্ধের ময়দান। এ নির্বাচন আমাদের নেত্রী খালেদা জিয়াকে মুক্ত করার নির্বাচন, আমাদের নেতা তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনার নির্বাচন, দেশে গণতন্ত্র ও মানুষের অধিকার ফিরিয়ে আনার নির্বাচন। এ থেকে কোনোভাবেই কেউ আমাদের দূরে রাখতে পারবে না।
খোরশেদ জানান, প্রার্থী হিসেবে দুই ভাই প্রাথমিকভাবে মনোনীত হয়েছি। দলের জন্য আমাদের ত্যাগের কথা বিবেচনা করেছে দল। আমরা প্রার্থী নয়, ধানের শীষের নির্বাচন করতে প্রস্তুত। ঐক্যবদ্ধ শক্তির মাধ্যমে এদেশে স্বৈরাচার সরকারের পতন ঘটানো হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২০১১ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৭, ২০১৮
এমজেএফ/