ঢাকা, শনিবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বিএনপি

প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে রাজধানীতে শোভাযাত্রা করবে বিএনপি

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৫২ ঘণ্টা, আগস্ট ১৯, ২০১৯
প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে রাজধানীতে শোভাযাত্রা করবে বিএনপি

ঢাকা: দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ০১ সেপ্টেম্বর (রোববার) উপলক্ষে ঢাকাসহ সারাদেশে শোভাযাত্রা-আলোচনা সভাসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করবে বিএনপি।

সোমবার (১৯ আগস্ট) দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে যৌথসভা শেষে ব্রিফিংয়ে এ কথা জানান দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

মহাসচিব মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা যে শোভাযাত্রাটি করবো সেটাকে শুধু প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর শোভাযাত্রা হিসেবে দেখতে চাই না।

অবরুদ্ধ গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের সংগ্রাম চলছে সেটাকেও সামনে আনতে চাই। আমরা দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেত্রী খালেদা জিয়াকে অন্যায়ভাবে আটক রাখা হয়েছে সেটাকেও সামনে আনতে চাই।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, বিএনপির প্রতিষ্ঠা হয়েছিল এমন সময় যখন একদলীয় শাসন ব্যবস্থা থেকে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা পুনরায় প্রবর্তনের কাজ চলছিল। তখন জিয়াউর রহমান এই দল প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেন ও প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি বিএনপি প্রতিষ্ঠার সময় দেশে একটা ঐক্য সৃষ্টি করে বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদে বিশ্বাসীদের নিয়ে নতুন আন্দোলন শুরু করেছিলেন, সত্যিকার অর্থে একটি সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে।  

মির্জা ফখরুল বলেন, ভুলে গেলে চলবে না ১৯৭২-’৭৫ সালে যারা ক্ষমতায় ছিলেন তারা একদলীয় বাকশাল প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। জিয়াউর রহমান বিএনপিকে প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। রাষ্ট্র-সমাজ ব্যবস্থায় গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়ার জন্য কাজ করেছিলেন। গত ৪০ বছরে বিএনপি দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য যে অবদান রেখেছে সেটা তুলনাহীন। একইসঙ্গে তথাকথিত সমাজতান্ত্রিক অর্থনীতির হাত থেকে বের করে মুক্ত অর্থনীতি নিয়ে আসার মূল ভূমিকা বিএনপি পালন করেছে।

তিনি বলেন, বিএনপি নিঃসন্দেহে দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় দল। তারা গণতন্ত্রকে পুনরুদ্ধারে জন্য লড়াই করছে। গণতন্ত্রের জন্য বিএনপি যতটা ত্যাগ স্বীকার করেছে কোনো লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি এতটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে মনে হয় না।   বর্তমানে এক লাখ মামলায় ২৬ লাখ নেতাকর্মী আসামি। শত শত নেতাকর্মী গুম-নিহত হয়েছেন। বিএনপিকে প্রতি মুহূর্তে মামলা মোকদ্দমা নিয়ে চলতে হচ্ছে। এমন অবস্থায়ও এখন পর্যন্ত বিএনপির একজনও মানুষ দল ছেড়ে অন্য কোনো দলে যোগ দেয়নি।

তিনি বলেন, আমরা বিশ্বাস করি, বিএনপির নেতৃত্বে এদেশে আবার গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার হবে। খালেদা জিয়াকে মুক্ত করে সত্যিকার অর্ধে জনগণের সংসদ ও জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা হবে।

প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কর্মসূচিতে যা থাকছে: ০১ সেপ্টেম্বর সকাল ৬টায় নয়াপল্টন কার্যালয়ে দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে। সকাল ১০টায় শের-ই বাংলা নগরে জিয়ার মাজারে পুষ্পার্ঘ অর্পণ ও ফাতেহা পাঠ করা হবে। দলের পক্ষ থেকে পোস্টার ও ক্রোড়পত্র প্রকাশ করা হবে। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে কেন্দ্রীয়ভাবে ঢাকায় আলোচনা সভার তারিখ ও স্থান পরে জানানো হবে। সারাদেশে দলীয় কার্যালয়ে দলীয় পতাকা উত্তোলন ও স্থানীয় সুবিধাজনক সময়ে আলোচনা সভার আয়োজন করা হবে।

মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সভাপতিত্বে যৌথসভায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম-মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকন, হাবিব উন নবী খান হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, বিলকিস জাহান শিরিন, অংগ ও সহযোগী সংগঠনের সভাপতি ও সম্পাদকরা।

বাংলাদেশ সময়: ১৫০৪ ঘণ্টা, আগস্ট ১৯, ২০১৯
এমএইচ/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।