হিম হিম ভাব, ঠাণ্ডা পড়ে গেছে। এসছে শীতকাল।
যারা ফুলের বাগান করতে ভালোবাসেন তাদের জন্য কিন্তু শীতকালটা খুব ভালো। যদি ছোট্ট ফ্ল্যাটবাড়িও হয়, বারান্দায় বা ছাদে অনায়াসে লাগিয়ে ফেলতে পারেন শীতের ফুলগাছগুলো। সারাটা শীত তোমার প্রাণ জুড়িয়ে দেবে নানা রঙের ফুলগুলো। তোমাদের জন্য তাই আজকে অল্প জায়গায় লাগানো যায় এমন কিছু শীতের ফুলের খবর জানাচ্ছি।
গাঁদা
সবার পরিচিত ফুল গাঁদা। এটি বিদেশি ফুল। হলুদের নানা শেড, কমলা এবং লাল রঙের হয়। হলুদ গাঁদা আফ্রিকা থেকে এসেছে। আর কালচে লাল রঙের ছিটেফোঁটা দেওয়া গাঁদা, যাকে আমরা রক্তগাঁদা বলে জানি, সে মূলত দক্ষিণ আমেরিকার ফুল। পাপড়ির সংখ্যা ভেদে সিঙ্গেল ও ডাবল- দুই রকম গাঁদা পাওয়া যায়।
জিনিয়া
মেক্সিকোর ফুল। এটিও সিঙ্গেল ও ডাবল হয়। বাহারি রঙের হয় জিনিয়া। গোলাপি, সাদা, বেগুনি রঙের ছড়াছড়ি। দেখতেও ভারী মিষ্টি এই ফুল। ৪-৭ সেন্টিমিটার চওড়া হয়।
ডালিয়া
ডালিয়াও আমাদের পরিচিত শীতের মরসুমি ফুল। মেক্সিকো থেকে এসেছে। এটি শীতের সব ফুলের মধ্যে সবচেয়ে সুন্দর। অনেকগুলো পাপড়ি থাকে, নানা রঙের হয়। কোনোটা একরঙা, কোনোটায় আবার একাধিক রঙের মিশ্রণ। ডালিয়া মূলত আকারে বড় হলেও ছোট সাইজের ডালিয়াও পাওয়া যায়।
কসমস:
কসমসও মেক্সিকো থেকে আসা ফুল। পাপড়ি থাকে অল্প কয়েকটি, সাধারণত ৫টি। গোলাপির বিভিন্ন শেড, বেগুনি ও সাদা রঙের হয় ফুল। লম্বা ও চিকন ডাঁটার উপর দেখতে ভীষণ সুন্দর লাগে।
চন্দ্রমল্লিকা:
আদিনিবাস চীনে হলেও চন্দ্রমল্লিকা জাপানের জাতীয় ফুল। অনেক জাতের অনেক রকমের আছে। একদম ছোট সাইজ থেকে মাঝারি সাইজ পর্যন্ত হয়। নানা রঙের হয় চন্দ্রমল্লিকা। চন্দ্রমল্লিকার সবকিছুই হরেক রকম। পাপড়ির আকৃতি, ফুলের জাত, রং, সাইজ- সবকিছুই বৈচিত্র্যপূর্ণ।
পরিবেশ-জীববৈচিত্র্যে লেখা পাঠান এই মেইলে: [email protected]
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২০, ২০১৩