ঢাকা, শুক্রবার, ১৮ পৌষ ১৪৩১, ০৩ জানুয়ারি ২০২৫, ০২ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণে ডিপিডিসি’র ১০ কর্মকর্তা বরখাস্ত

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২৩২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৭, ২০১৪
বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণে ডিপিডিসি’র ১০ কর্মকর্তা বরখাস্ত

ঢাকা: রাজধানীতে বুড়িগঙ্গা নদীর তীরে ঐতিহাসিক লালবাগ কেল্লায় তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহার করে ‘লাইট অ্যান্ড সাউন্ড শো’র উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিদ্যুৎ বিভ্রাটের ঘটনায় ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির (ডিপিডিসি) ১০ কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ও ডিপিডিসি’র চেয়ারম্যান তাপস কুমার রায় বাংলানিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।



তিনি জানান, প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে ‘লাইট অ্যান্ড সাউন্ড শো’র উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে কয়েক মিনিট বিদ্যুৎ বিভ্রাট হয়। এ ঘটনায় বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মকর্তাদের গাফিলতি আছে কি না তা তদন্ত করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে ১০ কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। যদি তদন্তে তাদের গাফিলতি প্রমাণিত হয় তবে স্থায়ী বরখাস্ত করা হবে।

বহিষ্কৃতরা হলেন, রফিকুল ইসলাম নির্বাহী প্রকৌশলী নারিন্দা, ফজলুল করিম নির্বাহী প্রকৌশলী নির্বাহী প্রকৌশলী গ্রিড দক্ষিণ-২, শেখ মোহাম্মদ জিয়াউল হাসান নির্বাহী প্রকৌশলী লালবাগ, মো. মহিউল আলম নির্বাহী প্রকৌশলী স্বামীবাগ, মোসাহেদুল হক ডিউটি অফিসার উপ-সহকারী প্রকৌশলী নারিন্দা।

আব্দুল হাকিম অভিযোগ সুপারভাইজার নারিন্দা, লুৎফর রহমান সুপারভাইজার স্বামীবাগ, আমির হোসেন উপ-সহকারী প্রকৌশলী গ্রিড নারিন্দা, সাইদ আহমেদ উপ-সহকারী প্রকৌশলী গ্রিড নারিন্দা, রকিবুল হাসান সহকারী প্রকৌশলী ডিউটি অফিসার স্বামীবাগ নিয়ন্ত্রণ কক্ষ।

pm_bg2_
এর আগে শুক্রবার সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের প্রত্নতত্ব রক্ষায় কাজ করছে সরকার। নতুন প্রজন্ম যেন পুরনো ঐতিহ্যকে ভুলে না যায়, সেই ধারাবাহিকতায় আমরা কাজ করে যাচ্ছি।

তিনি বলেন, লালবাগ কেল্লা জনগণের কাছে নতুনভাবে উপস্থাপনের জন্য আমরা এই পদক্ষেপ নিয়েছি। দেশে বিনোদনের খুব বেশি সুযোগ নেই। আমরা ক্ষমতায় এলে ভাবি কীভাবে মানুষের চিত্ত বিনোদনের সুযোগ বাড়ানো যায়। সেই ভাবনা থেকেই এই ‘লাইট অ্যান্ড সাউন্ড শো’র উদ্বোধন করা হয়েছে। ১৯৯৭ সালে লালবাগ কেল্লায় কাজ শুরু করি আমরা ২০১৩ সালে এসে তা শেষ হয়।

এ কাজের সঙ্গে যারা জড়িত ছিলেন তাদের ধন্যবাদ জানান তিনি।

বুড়িগঙ্গা নদীর তীরে ঐতিহাসিক লালবাগ কেল্লায় তিনটি সুবৃহৎ প্রবেশ তোরণ ও কিছু পর্যবেক্ষণ টাওয়ার, দুর্গ অভ্যন্তরে চারটি স্থাপত্য কাঠামো, পরি বিবির সমাধি, আজম শাহের মসজিদ এবং সৈনিক ব্যারাক রয়েছে।

১৯১০ সালে প্রত্মতত্ত্ব অধিদপ্তর এই দুর্গকে সংরক্ষিত স্থাপত্য ঘোষণা করে এবং দুর্গের সংস্কার করে দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়। বর্তমানে এখানে রয়েছে একটি জাদুঘর।

বাংলাদেশ সময়: ২২৪০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৭, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

জাতীয় এর সর্বশেষ