তোমার কী কোনো বন্ধু আছে? অনেক বেশি বন্ধু নাকী অনেক কম বন্ধু? নাকী তোমার কোনো বন্ধুই নেই? যেটাই হোক না কেন, আজকে তুমি একটা নতুন বন্ধু বানিয়ে ফেলো। কেন জানো? কারণ আজ ‘একটা বন্ধু বানাও দিবস।
কী? অবাক হয়েছ? আগে কখনো শুনেছ এমন কোনো দিবসের কথা? আসলে আমাদের দেশে এই দিবসের প্রচলন নেই। তাই হয়তো এটার ব্যাপারে জানো না।
প্রতি বছর বিশ্বের নানা দেশে ১১ ফেব্রুয়ারি পালিত হয় ‘মেক এ ফ্রেন্ড ডে’, অর্থাৎ একটা বন্ধু বানাও দিবস। সাধারণত একটা নতুন বন্ধু বানিয়ে এ দিনটি উদযাপন করা হয়।
বিভিন্নভাবে বন্ধু বানানো যায়। এর মধ্যে উপহার দিয়ে বন্ধু হওয়ার আহ্বান জানানোর চল বেশি। কাজটা বেশ সহজ। যাকে যাকে বন্ধু বানাতে চাও, তাকে কার্ড, ফুল, খেলনা বা অন্য কোনো উপহার দিতে পারো। কার্ড হলে তাতে লেখা থাকবে বন্ধু হওয়ার কথা। অন্য কিছু দিলেও সঙ্গে কাগজে লিখে দেবে বন্ধু হওয়ার বার্তা।
তবে সবসময় উপহার দিয়ে বন্ধু হতে হয় তেমনটা নয় কিন্তু। তোমার যেভাবে ইচ্ছে সেভাবেই তুমি কারো সঙ্গে বন্ধুত্ব করতে পারো। অনেক সময় কোনো কিছু পাল্টাপাল্টি করে বন্ধুত্ব হয়। যেমন ধরো, তোমার একটা কলম তুমি তোমার নতুন বন্ধুকে দিয়ে দিলে, আর সে তার একটা কলম তোমাকে দিলো। রাখি বেঁধেও বন্ধুত্ব হয়।
বন্ধুত্ব কীভাবে করা যায় তা তো জানা হলো। এবার কথা হচ্ছে, কাকে তুমি বন্ধু বানাবে?
বন্ধু নির্বাচন করতে হয় ভেবেচিন্তে। যে খুব ভালো, বাবা-মায়ের কথা শোনে, কোনো খারাপ কাজ করে না, যে তোমার ভালো চাইবে, কখনোই তোমার ক্ষতি করবে না- তেমন কাউকেই শুধু বন্ধু বানাতে হয়। নইলে বন্ধু খারাপ হলে সে তোমার ক্ষতি করে ফেলতে পারে। বন্ধু নির্বাচন করার ক্ষেত্রে বাবা-মায়ের সঙ্গে আলাপ করে নেওয়া উচিত।
তুমি নিশ্চয়ই ভাবছ এতকিছু ভেবে বন্ধু বানাবে কীভাবে? তুমি বরং এক কাজ করতে পারো। শুধু যে মানুষকেই বন্ধু বানাতে হবে তেমন কোনো কথা নেই কিন্তু। যাকে তুমি ভালোবাসো তাকে তুমি বন্ধু বানাতেই পারো। তাই চাইলে তোমার খেলার পুতুলটা, লাল রোবটটা, বারান্দায় টবের গাছ, এমনকী গল্পের বইটার সঙ্গেও বন্ধুত্ব করে ফেলতে পারো। ওরা কিন্তু কখনোই খারাপ বন্ধু হয় না।
তাহলে এখনই একটা বন্ধু বানিয়ে ফেলো। দৌড়ে গিয়ে ফুলদানির ফুলগুলোকে জিজ্ঞেস করে এসো, ‘তুমি কী আমার বন্ধু হবে?’
ইচ্ছেঘুড়িতে লেখা পাঠান এই মেইলে: [email protected]
বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১১, ২০১৪