ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

একদিনে ২০ ফাঁসির আসামিকে ক্ষমা করেছেন রাষ্ট্রপতি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮০৯ ঘণ্টা, মার্চ ৫, ২০১৪
একদিনে ২০ ফাঁসির আসামিকে ক্ষমা করেছেন রাষ্ট্রপতি

সংসদ অধিবেশন থেকে: একদিনেই ২০ জন ফাঁসির আসামিকে ক্ষমা করে দিয়েছেন সাবেক রাষ্ট্রপতি মো. জিল্লুর রহমান।

২০১০ সালের ৬ সেপ্টেম্বর তৎকালীন রাষ্ট্রপতি ২০ জন ফাঁসির আসামির সাজা মওকুফ করেন।

এর বাইরে ২০০১ সাল থেকে এ পর্যন্ত ফৌজদারি মামলায় দণ্ডাদেশপ্রাপ্ত ৩৩ জন আসামিকে রাষ্ট্রপতির বিশেষ ক্ষমায় মুক্তি বা সাজা পরিবর্তন করা হয়েছে বলে সংসেদে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান।
 
বুধবার দশম জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশনে সংসদ সদস্য পীর ফজলুল রহমানের এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী সংসদকে এ তথ্য জানান।
 
বন্দিদের প্রাণভিক্ষার আবেদন বা সাজা মওকুফের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তাদের মুক্তি বা সাজা মওকুফ করার বিষয়টি বিবেচনা করা হয় বলে জানান প্রতিমন্ত্রী।
 
প্রতিমন্ত্রীর দেওয়া তথ্য থেকে জানা গেছে, এ সময়ের মধ্যে ২৩ জন মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত আসামির সাজা মওকুফ করা হয়েছে।

এছাড়া ছয়জন মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্তকে সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। একজন যাবজ্জীবনপ্রাপ্ত আসামির সাজা মওকুফ ও বাকিদের সাজা বিভিন্ন মেয়াদে কমানো হয়েছে।
 
মৃত্যুদণ্ড মওকুফ হওয়া এই ২০ জনের নাম-পরিচয় থেকে দেখা যায়, প্রত্যেকেই নাটোর জেলার নলডাঙ্গা থানায় দায়ের করা একটি মামলার আসামি।

দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের এই মামলা নম্বর ০৩/০৬, জিআর নম্বর- ৬১/০৪ (নলডাঙ্গা, ধারা ৩০২/৩৪ দ.বি.)।

মামলার বিবরণী থেকে জানা যায়, মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ২০ জন নাটোরের আলোচিত যুবদল নেতা সাব্বির আহম্মেদ গামা হত্যা মামলায় অভিযুক্ত ছিলেন।

মৃত্যুদণ্ডাদেশ মওকুফ হওয়া আসামিরা হলেন- মো. আনিছার রহমান, মো. সেন্টু, মো. ফয়সাল, মো. এম এ ফিরোজ, মো. ফারুক শাহ, ফজুলল হক শাহ, জাহিদুল, শাহ জাহান আলী, মো. বাদল, আ. জলিল ওরফে শিমুল আসলাম ফকির, মো. সোহাগ, এস এম ফকর উদ্দিন ফুটু মাস্টার, সাজ্জাদ হোসেন, মো. জহুরুল মেম্বার, মো. ফরমাজুল, মো. আবুল হোসেন, মো. বাবলু, আতাউর রহমান ওরফে মোবারক, আসাদ ওরফে কমল ওরফে রাজা ওরফে আশরাফ ওরফে আশরাব ও আহিদুল ওরফে রহিদুল ওরফে সোহাগ ওরফে রনি।

এদিকে, সংসদ সদস্য মো. আবদুল্লাহর এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, চলতি অর্থবছরে বাংলাদেশের প্রতিটি থানায় জনবল বৃদ্ধির পরিকল্পনা বর্তমান সরকারের রয়েছে। এ পরিকল্পনার আওতায় পুলিশ বিভাগের সব ইউনিটসহ থানা, ফাঁড়ি ও তদন্তকেন্দ্রের জনবল বৃদ্ধির কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে।
 
সংসদ সদস্য মোরশেদ আলমের এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী জানান, বাংলাদেশে মাদকাসক্তের সংখ্যা কত এ সম্পর্কে এখন পর্যন্ত কোনো জরিপ হয়নি। তাই, দেশে কতজন শিশু বা লোক মাদকাসক্ত তার সঠিক পরিসংখ্যান নেই। তবে এ স্বীকার্য যে, বিশ্বায়নের ফলে মাদক সমস্যা বৃদ্ধির পাশাপাশি মাদকাসক্তের সংখ্যাও বৃদ্ধি পাচ্ছে।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৫ ঘণ্টা, মার্চ ০৫, ২০১৪/আপডেটেড: ১৮২৫ ঘণ্টা

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

জাতীয় এর সর্বশেষ