ঢাকা: টাঙ্গাইলের আবদুল লতিফ সিদ্দিকীর সংসদ সদস্য পদ বাতিলের বিষয়ে তার এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের বক্তব্য শুনবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আগামী ২৩ আগস্ট বেলা ১১টায় ইসি সচিবালয়ের সভাকক্ষে তাদের দু’জনকে নিয়ে শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।
বৃহস্পতিবার (৬ আগস্ট) ইসি সচিব সিরাজুল ইসলাম বাংলানিউজকে এ কথা জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, সংসদ সদস্য পদ বাতিলের বিষয়ে ২৩ আগস্ট লতিফ সিদ্দিকীর শুনানি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন। সেদিন একইসঙ্গে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের শুনানিও অনুষ্ঠিত হবে। রোববার তাদের চিঠি দিয়ে শুনানিতে অংশ নেওয়ার জন্য বলা হবে।
এর আগে, নিজ নিজ অবস্থানের পক্ষে যুক্তি তুলে ধরতে বলা হলে ইসিতে চিঠি দিয়ে নিজেদের অবস্থান তুলে ধরেন লতিফ সিদ্দিকী ও সৈয়দ আশরাফ।
লতিফ সিদ্দিকী তার চিঠিতে দাবি করেন, সরকারি সফরে হজ নিয়ে যে বক্তব্য তিনি দিয়েছেন, তা দলীয় নেতা হিসেবে নয় বিধায় তাকে দল থেকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত আওয়ামী লীগের ভুল ছিল। পরবর্তী সময়ে এ সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে নেওয়া অন্য সিদ্ধান্তগুলোও ভুল।
অন্যদিকে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফও একই দিনে ইসিতে দেওয়া চিঠিতে যুক্তি দেখিয়েছেন, যেহেতু লতিফ সিদ্দিকী আওয়ামী লীগের কেউ নন, তাই তার সংসদ সদস্য পদে থাকারও কোনো আইনগত অধিকার নেই।
এজন্য লতিফ সিদ্দিকীর সংসদ সদস্য পদ বাতিলে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী রকিবউদ্দীন আহমদকে অনুরোধও করেছেন সৈয়দ আশরাফ।
সূত্র জানায়, লতিফ সিদ্দিকীর এমপি পদ থাকা না থাকার বিষয়টি নিষ্পত্তি করতে অতীতের রেফারেন্স অনুসরণ করছে ইসি। এমন ঘটনা ঘটেছিলো ২০০০ সালে। সে সময় বিএনপি থেকে নির্বাচিত কিশোরগঞ্জ-২ আসনের তৎকালীন সংসদ সদস্য মো. আখতারুজ্জামানকে শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়। এরপর তার এমপি পদ শূন্য ঘোষণার জন্য স্পিকার হুমায়ুন রশীদ চৌধুরীকে অনুরোধ করেন তৎকালীন বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ অ্যাডভোকেট খোন্দকার দেলোয়ার হোসেন। তখনও সিইসিকে সিদ্ধান্ত দিতে বলেছিলেন স্পিকার। এরপর শুনানি করেই আখতারুজ্জামানের সংসদ সদস্য পদ শূন্য ঘোষণা করার রায় দেয় ইসি।
লতিফ সিদ্দিকীর এমপি পদ থাকা না থাকার বিষয়ে সিদ্ধান্ত দিতে গত ১৩ জুলাই সিইসি কাজী রকিবউদ্দীন আহমদকে চিঠি পাঠান স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। তার চিঠি পাওয়ার পর বিষয়টি নিষ্পত্তির প্রক্রিয়া হাতে নিয়েছে ইসি।
নির্বাচন কমিশনার মো. শাহ নেওয়াজ বলেন, কোনো সিদ্ধান্ত দেওয়ার আগে দু’পক্ষকেই শুনানির সুযোগ দেওয়া উচিত। তাই তাদের শুনানি করেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
আইন অনুযায়ী, উভয়পক্ষই শুনানিতে সাক্ষ্য উপস্থাপন ও জেরা করার সুযোগ পাবে। এছাড়া, তারা ব্যক্তিগতভাবে অথবা অ্যাডভোকেট প্রতিনিধির মাধ্যমে ইসির সামনে উপস্থিত থাকার অধিকার পাবেন।
** শুনানিতেই লতিফ সিদ্দিকীর ভাগ্য নির্ধারণ
বাংলাদেশ সময়: ১৯২৭ ঘণ্টা, আগস্ট ০৬, ২০১৫/আপডেট ১৯৫১ ঘণ্টা
ইইউডি/এইচএ/