বুধবার (২৬ সেপ্টেম্বর) দুপুর থেকে তারা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ শুরু করেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক সূত্র বাংলানিউজকে জানায়, মঙ্গলবার (২৫ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেটে নিয়োগ পরীক্ষা স্থগিতের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
এসময় তারা উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া না থাকায় উপ উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ডা. সাহানা আখতার রহমানের কার্যালয় অবরুদ্ধ করে রাখেন।
সূত্র বলছে, দুপুর ২টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ডা. সাহানা আখতার অবরুদ্ধ হয়ে আছেন।
তবে এ বিষয়ে জানতে চাইলে অধ্যাপক ডা. সাহানা আখতার কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। তিনি বলেন, যা বলার উপাচার্য স্যার বলবেন।
উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া বাংলানিউজকে বলেন, আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মিত রাউন্ড শেষ করে বুধবার দুপুরে বাংলাদেশ কলেজ অব ফিজিশিয়ানস অ্যান্ড সার্জনসের (বিসিপিএস) উদ্দেশে রওনা হই। গাড়ি মগবাজার ফ্লাইওভারের ওপর ওঠার পর খবর পাই চাকরি প্রার্থীরা প্রশাসন ভবনে বিক্ষোভ প্রদর্শন করছেন এবং উপ উপাচার্যকে অবরুদ্ধ করে রেখেছেন।
বিকেল পর্যন্ত অধ্যাপক ডা. সাহানা অবরুদ্ধ ছিলেন জানিয়ে তিনি বলেন, উপ উপাচার্যের কক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা আছেন। তাদের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। আশা করছি অল্প সময়ের মধ্যেই তারা বেরিয়ে আসবেন।
বিক্ষোভকারী চিকিৎসকদের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন বাংলানিউজকে বলেন, এখানে দীর্ঘদিন ধরে নিয়োগ বন্ধ রয়েছে। বিভিন্ন সময়ে কিছু নিয়োগ হলেও সেগুলো অনিয়মতান্ত্রিকভাবে তদবিরের মাধ্যমে হয়েছে। তাই ২০১৬ সাল থেকে নতুনদের নিয়োগের জন্য দাবি জানানো হচ্ছে। এরপর ২০১৭’র অক্টোবরে ২০০ জন মেডিকেল অফিসার চেয়ে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। চলতি মাসের ২৭ সেপ্টেম্বর নিয়োগ পরীক্ষা হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু অদৃশ্য কারণে তা স্থগিত করে দেয় কর্তৃপক্ষ। তাই আমরা বিক্ষোভ করছি। এখন উপ-উপাচার্যকে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে। নিয়োগের আশ্বাস না পাওয়া পর্যন্ত বিক্ষোভ চলবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মোজাফফর আহমেদ বাংলানিউজকে বলেন, ম্যাডাম অবরুদ্ধ রয়েছেন। আমরা ম্যাডামের সঙ্গে আছি। যারা অবরুদ্ধ করে রেখেছেন তারাও চিকিৎসক, আমাদের ছাত্র। আমরা তাদের বোঝানোর চেষ্টা করছি। আশা করছি তাদের বুঝিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পারবো।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৬, ২০১৮
এমএএম/টিএ