অভাবের সংসার ও পারিবারিক অবস্থানের কারণে বেশ কয়েকমাস আগে থেকে পড়াশোনা বন্ধ করে ভ্যানের হ্যান্ডেল ধরেছে শাহীন। তবে একটি ভ্যান হওয়ায় বাবা-ছেলে দু’জনে শিফট মেনে ভাড়ায় বের হয়।
এমনিভাবেই শুক্রবার (২৮ জুন) সকালে ভ্যান নিয়ে বাড়ি থেকে বের হয় শাহীন। পথে পথে ভাড়া চালাতে চালাতে দুপুরে ভদ্রবেশে থাকা কয়েকজন দুর্বৃত্ত মিলে শাহীনের ভ্যান রিজার্ভ নিয়ে পার্শ্ববর্তী উপজেলা সাতক্ষীরার পাটকেলঘাটা থানার ধানদিয়ায় নিয়ে রওনা হয়। পথে ধানদিয়ায় রাস্তার দু'ধারে পাটক্ষেতের নির্জন স্থানে নিয়ে শাহীনের মাথা ফাটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে এ পরিবারের শেষ সম্বল ভ্যানটি নিয়ে পালিয়ে যায়। ওখানেই অজ্ঞান হয়ে পড়ে থাকে শাহীন, পরে জ্ঞান ফিরলে শাহীনের কান্নার শব্দে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে থানায় খবর দেয়।
সাতক্ষীরার পাটকেলঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজাউল হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, এলাকাবাসীর সংবাদের ভিত্তিতে তাৎক্ষণিকভাবেই কর্মজীবী শিশু শাহীনকে উদ্ধার করে খুলনা ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন। তবে কারা তার ভ্যান রিজার্ভ করে এনেছিলো এবং ভ্যান নিয়ে কোথায় পালালো তা উদ্ধারে পুলিশ কাজ করছে।
আহত শাহীনের গ্রাম মঙ্গলকোট ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) সদস্য জহির রায়হান বাংলানিউজকে বলেন, ঘটনাটি অমানবিক। যারা এ ঘটনায় জড়িত তারা মানুষরূপী পশু না হলে এমন শিশুর মাথা ফাটিয়ে ভ্যান ছিনতাই করতে পারতো না।
এ ঘটনায় জড়িতদের আটকের দাবি জানিয়ে তিনি দাবি করে বলেন, সমাজের কোনো বিত্তশালী হৃদয়বান মানুষ যদি সহায়-সম্বল হারানো শাহীনদের সহযোগিতা করেন তারা অনেক উপকৃত হবেন।
বাংলাদেশ সময়: ২১৩৭ ঘণ্টা, জুন ২৮, ২০১৯
ইউজি/এএটি