বুধবার (৩০ অক্টোবর) বিকেলে প্রেমিকার বাড়ি লালমনিরহাট শহরের বসুন্ধরা এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়।
এরআগে, মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) রাতভর প্রেমিকার বাড়ি আটক থাকেন পুলিশ কনস্টেবল আল আমিন।
পুলিশ কনস্টেবল আল আমিন লালমনিরহাট সদর উপজেলার মোগলহাট ইউনিয়নের কর্ণপুর গ্রামের হানিফ আলীর ছেলে। তিনি পুলিশ কনস্টেবল হয়ে রংপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ড. আব্দুল মজিদের দেহরক্ষী হিসেবে কর্মরত রয়েছেন।
পুলিশ জানায়, বসুন্ধরা এলাকার মৃত দেলওয়ার হোসেনের স্বামী পরিত্যক্তা মেয়ে লায়লা পারভীন সুমির (৩৫) সঙ্গে দীর্ঘদিনের প্রেমের সম্পর্ক ছিল আল আমিনের। পুলিশ সদস্য আল আমিনের বিয়ের প্রতিশ্রুতিতে বিজিবি সদস্য স্বামী রফিকুলকে তালাক দেন সুমি। এরপর দীর্ঘদিন ধরে আল আমিন দৈহিক সম্পর্ক করে ভিডিও ধারণ করে রেখেছেন বলে অভিযোগ প্রেমিকার।
গত ২১ থেকে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত ছুটি নিয়ে বাড়ি আসেন আল আমিন। এরপর গত তিন দিন ধরে পরকীয়া প্রেমিকা সুমির বাড়িতে তার সঙ্গে রাত্রিযাপন করেন। মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) সন্ধ্যায় বিয়ের জন্য চাপ দিলে অপরাগতা প্রকাশ করেন প্রেমিক আল আমিন। একপর্যায়ে প্রেমিকা ও তার পরিবার স্থানীয়দের সহায়তায় তাকে বাড়িতে আটকে রাখেন।
বিষয়টি জানতে পেয়ে পুলিশ কনস্টেবল আল আমিনের বাবা ছেলের নিখোঁজ দাবি করে লালমনিরহাট সদর থানায় একটি অভিযোগ দেন। বিষয়টি আমলে নিয়ে সদর থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে প্রেমিকা সুমির বাড়ি থেকে আল আমিনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।
এদিকে, প্রেমিকা সুমি আক্তার বিয়ের দাবিতে অনড় থাকলেও প্রেমিক আল আমিনের স্ত্রী আরজু আক্তার এ বিয়েতে রাজি নয়। সন্ধ্যা থেকে থানা চত্ত্বরেই উভয় পক্ষের দফায় দফায় বৈঠক হলেও এ রিপোর্ট লিখা পর্যন্ত (রাত ৯টা) কোনো সমাধান হয়নি।
লালমনিরহাট সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহফুজ আলম বাংলানিউজকে বলেন, পরকীয়া প্রেমিকাসহ আল আমিনকে থানায় নেওয়া হয়েছে। উভয়পক্ষের আলোচনা চলছে। সমাধান না হলে মামলা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২১৪৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩০, ২০১৯
এনটি