শনিবার (২৮ মার্চ) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে শিবগঞ্জ উপজেলার ময়দানহাটা ইউনিয়নের হোসেনপুর গ্রামের বড়পুকুরিয়া নামক স্থানে পীরের মাজারের পাশে সরকারি খাস জমিতে মরদেহ দাফন করা হয়।
এর আগে শনিবার (২৮ মার্চ) সকালে শিবগঞ্জ উপজেলার মহব্বত নন্দীপুর গ্রামে স্ত্রীর কর্মস্থল এলাকায় ভাড়া বাসায় মারা যান ওই ব্যক্তি।
এদিকে করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা যাওয়ার খবরে এলাকা জুড়ে করোনা আতংক ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয় প্রশাসন সেখানকার ১৫টি বাড়ি লকডাউন ঘোষণা করে। এরপর নিশ্চিত হওয়ার জন্য মরদেহ থেকে নমুনা সংগ্রহ করে নিয়ে যায় স্বাস্থ্য বিভাগ।
জানা গেছে, বিকেলের দিকে মরদেহ দাফন নিয়ে দেখা দেয় বিপত্তি। গ্রামের লোকজন সেখানে দাফনে আপত্তি জানায়। উপজেলার সোবাহানপুর বড় পুকুরিয়া পীরপল নামক স্থানে কবর খননের কাজ শুরু করার সময় ময়দান হাটা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মেজবাউল হোসেন নেতৃত্বে গ্রামবাসী ঐক্যবদ্ধ হয়ে ওঠেন এবং কবর খননে বাধা দেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ার আশঙ্কায় বিকেল ৪টার পর ওই গ্রামে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়।
এরপর উপজেলা চেয়ারম্যান ফিরোজ আহম্মেদ রিজু, উপজেলা নির্বাহী অফিসার আলমগীর কবীর, থানার ওসি মিজানুর রহমান সেখানে যান। পুলিশ গ্রামের লোকজনকে সেখান থেকে সরিয়ে ধর্মীয় বিধান অনুযায়ী গ্রাম পুলিশের তিন সদস্য ও হাসপাতালের একজন ওয়ার্ড বয়ের সহযোগীতায় সন্ধ্যা সাড়ে ৭টর দিকে মরদেহ দাফন করা হয়।
শিবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, প্রথম অবস্থায় এলাকার লোকজন দাফনে বাধা দেয়। পরে পুলিশের হস্তক্ষেপে মরদেহ দাফন করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ২২২৪ ঘণ্টা, মার্চ ২৮, ২০২০
এমএইচএম