ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

৩৩৩-এ ফোন পেয়ে গভীর রাতে ত্রাণ পাঠালেন ডিসি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৪৪ ঘণ্টা, মার্চ ৩০, ২০২০
৩৩৩-এ ফোন পেয়ে গভীর রাতে ত্রাণ পাঠালেন ডিসি ফাইল ফটো

চট্টগ্রাম: সরকারি তথ্য সেবা নম্বর ৩৩৩-এ ফোন পেয়ে নগরের বায়েজিদ থানার খাজা গরীবে নেওয়াজ লেন এলাকায় এক দিনমজুর পরিবারের জন্য গভীর রাতে ত্রাণ সহায়তা পাঠিয়েছে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন।

রোববার (২৯ মার্চ) দিনগত রাতে জেলা প্রশাসক মো. ইলিয়াস হোসেনের নির্দেশে ওই পরিবারের কাছে চাল-ডালসহ ৩৩ কেজি শুকনো খাবার পৌঁছে দেন জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা।

জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. তৌহিদুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, রাতে সরকারি তথ্য সেবা নম্বর ৩৩৩-এ ফোন দিয়ে বায়েজিদ এলাকার এক নারী ত্রাণ সহায়তা চান।

৩৩৩ থেকে এডিসি জেনারেল স্যারের সঙ্গে ওই নারীর যোগাযোগ করিয়ে দেওয়া হয়।

তিনি জানান, এডিসি জেনারেল স্যার ওই নারীর সঙ্গে কথা বলে তার পুরো তথ্য নেন। পরে ডিসি স্যারের নির্দেশে ওই নারীর পরিবারের জন্য তাৎক্ষণিক ৩৩ কেজি শুকনো খাবার পৌঁছে দেন।

জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ওই নারীর পরিবারের কাছে ২০ কেজি চাল, ৪ কেজি চিড়া, ২ কেজি ডাল, ২ কেজি চিনি, ২ কেজি লবন, ২ লিটার তেল এবং ১ কেজি নুডলসসহ ৩৩ কেজি শুকনো খাবার পৌঁছে দেওয়া হয় বলে জানান তিনি।

অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. কামাল হোসেন বাংলানিউজকে জানান, রাতে এক নারী ফোন দিয়ে কান্না করতে থাকেন। খাবার না থাকায় তার পরিবার দুই দিন ধরে না খেয়ে আছেন বলে জানান। সঙ্গে সঙ্গে তার পুরো তথ্য আমরা নোট নিই। ডিসি স্যারের নির্দেশে রাতেই ওই নারীর পরিবারের জন্য ত্রাণ সহায়তা পাঠানো হয়।

তিনি জানান, ওই নারী আমাদের জানিয়েছেন- তার স্বামী দিনমজুর। করোনার প্রভাবে ৭ দিন ধরে তিনি বেকার। ৪ সন্তান নিয়ে তাদের ৬ জনের পরিবার। রোববার দুপুর থেকেই সন্তানেরা খাবারের জন্য কান্নাকাটি শুরু করে। কারও কাছে সাহায্য না পেয়ে রাতে সরকারি সেবা নম্বরে ফোন দিয়েছেন তিনি।

‘জেলা প্রশাসন আগেই ঘোষণা দিয়েছে, করোনার এই সময়ে চট্টগ্রামে একজন মানুষও অভুক্ত থাকবেন না। দিনমজুরসহ নিম্ন আয়ের মানুষের ঘরে ঘরে আমরা ত্রাণ সহায়তা পৌঁছে দিচ্ছি। আমাদের কাছে পর্যাপ্ত ত্রাণ সামগ্রী আছে। সবার কাছেই আমরা ত্রাণ সহায়তা পৌঁছে দেবো। ’ যোগ করেন জেলা প্রশাসনের এ কর্মকর্তা।

জেলা প্রশাসনের ত্রাণ সহায়তা পাওয়া ওই নারী বাংলানিউজকে জানান, খাবার ফুরিয়ে যাওয়ায় সন্তানদের মুখে কিছু তুলে দিতে পারছিলাম না। তারা কান্না করছিলো। অনেকটা নিরুপায় হয়ে সরকারি সেবা নম্বরে ফোন দিই। কিছুক্ষণের মধ্যে আমাদের বাসায় খাবার পাঠান ডিসি স্যার।

তিনি জানান, ফোন দেওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই খাবার বাসায় চলে আসবে- এমনটা ভাবিনি। খাবার পেয়ে রাতেই রান্না করেছি। সন্তানদের মুখে খাবার তুলে দিয়েছি।

বাংলাদেশ সময়: ১৩৪২ ঘণ্টা, মার্চ ৩০, ২০২০
এমআর/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

চট্টগ্রাম প্রতিদিন এর সর্বশেষ