শনিবার (১ ডিসেম্বর) দুপুরে পৃথিবীব্যাপী মহাবিপন্ন ‘বনরুই’ ধরে হত্যা করার ছবি ও ভিডিওচিত্র বাংলানিউজের কাছে এসেছে। হত্যার পরে সেই বনরুইটির প্রয়োজনীয় শারীরিক অংশ পাচার করা হয়েছে বলে জানা যায়।
শুক্রবার (৩০ নভেম্বর) বনরুইটিকে হাতিমারা চা চাগানের হাতিখোলা পাহাড় থেকে মাটিখুঁড়ে ধরে আনা হয়।
বাংলানিউজের অনুসন্ধানে জানা যায়, ফিনলে চা কোম্পানির হাতিমারা চা বাগানে একদল সংঘবদ্ধচক্র প্রায়ই রেমা-কালেঙ্গা ও এর পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে শিকার করে। এই চক্রের মূলহোতা ধনঞ্জয় চৌহান। হাতিমারা চা বাগানের সর্দার তিনি। তার নেতৃত্বেই এলাকায় শিকারগুলো হয়। এই বনরুই হত্যাকাণ্ডটিও ধনঞ্জন চৌহানের নেতৃত্বে হয়েছে বলে জানা যায়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে হাতিমারা চা বাগানের ব্যবস্থাপক মাইনুদ্দিন বাংলানিউজকে বলেন, আমরা বন্যপ্রাণী শিকার সম্পর্কে সব সময় আমাদের শ্রমিকদের নিরুৎসাহিত করি। এখন যদি কেউ শিকার করেই থাকে তবে এর দায়-দায়িত্ব তার নিজের, আমাদের নয়।
বন্যপ্রাণী বিশেষজ্ঞ ও সহকারী বন সংরক্ষক তবিবুর রহমান বনরুই সম্পর্কে বলেন, বনরুই পৃথিবীব্যাপী মহাবিপন্ন প্রাণী। এর মাংস সুস্বাদু। মাংসের জন্যই তাদের নির্মমভাবে প্রাণ হারাতে হচ্ছে। বনরুইয়ের ইংরেজি নাম Pangolin। আমাদের দেশে Indian Pangolin এর প্রজাতিটিই পাওয়া যায়। মাথা থেকে এর লেজের দৈর্ঘ্য প্রায় ১০৫ সেন্টিমিটার।
বন্যপ্রাণী অপরাধ নিয়ন্ত্রণ ইউনিট (ডাব্লিউসিসিইউ) এর পরিচালক মিহির কুমার দো বাংলানিউজকে বলেন, বনরুই পৃথিবীব্যাপী মহাবিপন্ন প্রাণী। এই প্রাণীটির হত্যা কোনোক্রমেই মেনে নেওয়া যায় না।
সিলেট বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) এসএম মুনিরুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, প্রয়োজনীয় তথ্য-প্রমাণসহ বনরুই হত্যাকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে এটুকু আশ্বাস আমি দিতে পারি। আমরা বন্যপ্রাণী শিকারি ও হত্যাকারীদের বিরুদ্ধে সদা সোচ্চার।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০২, ২০১৮
বিবিবি/এএ