ঢাকা: তুলনামূলকভাবে তাপমাত্রা কিছুটা কমলেও এখনো তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে দেশের ওপর দিয়ে। আগামী কয়েকদিনে তীব্রতা কমার তেমন কোনো আভাস নেই।
আবহাওয়াবিদ মো. শাহীনুল ইসলাম জানিয়েছেন, রোববার (২১ এপ্রিল) দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে চুয়াডাঙ্গায়, ৪২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যশোরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর ঢাকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৮ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
শনিবার (২০ এপ্রিল) মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল দেশে। এদিন ঢাকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪০ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস ও যশোরের তাপমাত্রা ৪২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছিল। আর চুয়াডাঙ্গায় ছিল ৪২ দশমিক ৩ ডিগ্রি তাপমাত্রা।
এছাড়া রাজশাহীতে ৪১ দশমিক ৫ ডিগ্রি, মোংলায় ৪১ দশমিক ৭ ডিগ্রি , ঈশ্বরদীতে ৪১ দশমিক ৬ ডিগ্রি, খুলনায় ৪১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল।
আবহাওয়াবিদ মো. শাহীনুল ইসলাম বলেন, সিলেট, ময়মনসিংহ ও চট্টগ্রাম বিভাগে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে৷ অন্যত্র কোনো সম্ভাবনা নেই। আগামী কয়েকদিনে তাপপ্রবাহ প্রশমিত হওয়ারও কোনো আভাস নেই।
২০২৩ সালের ১৭ এপ্রিল আগের নয় বছরের মধ্যে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ঈশ্বদীতে, ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর ২০১৪ সালের মে মাসে চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৪৩ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
২০২৩ সালের ১৬ এপ্রিল আগের ৫৮ বছরের ইতিহাসে ঢাকার তাপমাত্রা ছিল সর্বোচ্চ, ৪০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঢাকায় ১৯৬৫ সালে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা উঠেছিল ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগে ১৯৬০ সালে ঢাকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা উঠেছিল ৪২ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। ১৯৭৫ সালের ১৮ মে রাজশাহীতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৪৫ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস, এই রেকর্ড এখনো ভাঙেনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১২ ঘণ্টা, এপ্রিল ২১, ২০২৪
ইইউডি/এসআইএস