নওগাঁ: নওগাঁর ধামইরহাট উপজেলার নন্দনপুর গ্রামের পাশের একটি ঝোপ-ঝাড় থেকে সোমবার আটক সাপটি অজগর নয় বলে জানিয়েছে বন্যপ্রানী সংরক্ষণ বিভাগ।
শনিবার রাত ৯টার দিকে রাজশাহী বিভাগীয় বন্যপ্রানী সংরক্ষণ কর্মকর্তা রেজাউল করিম বাংলানিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এ বিষয়ে তিনি জানান, সাপটি উদ্ধার করার পর প্রথমিকভাবে সেটিকে অজগর সাবক বলে ধারণা করা হলেও পরে বিরল প্রজাতির চন্দ্রবোড়া সাপ বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। তবে এ নিয়ে আরো পর্বেক্ষন চলছে।
তিনি জানান, সাপটি অধিক বিষধর ও ক্ষিপ্র গতির। এ প্রাণীটি দ্রুত ছোঁবল দিতে পারে। তার বিষের এতো মাত্রা যে, কোনো প্রানীকে ছোঁবল দিলে সেই প্রাণী সঙ্গে-সঙ্গেই মারা যেতে পারে।
এশিয়া মহাদেশ তথা পৃথিবিতে সবচেয়ে বেশি সর্পদংশনে মানুষ মারা যাবার ঘটনার জন্য এই প্রজাতির প্রাণীই দায়ী। উত্তরাঞ্চলে নওগাঁর ধামইরহাট উপজেলার ভারত সীমান্ত ঘেষা শিমুলতলী এলাকায় বড় একটি কাশবনে এ ধরনের সাপের আধিক্য থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
তিনি আরো জানান, সোমবার সন্ধ্যায় আটকের পর থেকে সাপটি ধামইরহাট বন বিট কর্মকর্তার কার্যালয়ে ৪ দিন খাঁচায় বন্দি থাকার পর শুক্রবার সন্ধ্যায় রাজশাহী বিভাগীয় নব কর্মকর্তার কার্যালয়ে আনা হয়েছে। সেখানে ডাক্তারি পরীক্ষা-নিরিক্ষা করা হয়েছে। পাশাপাশি তার খাবার হিসেবে নিয়মিত ব্যাঙ ও ছোট মুরগি দেওয়া হচ্ছে।
রেজাউল করিম জানান, আটক সাপটি কোথায় অবমুক্ত করা হবে সেটি এখনও ঠিক করা হয়নি। তবে ধামইরহাট জাতীয় উদ্যান আলতাদীঘি শালবনে ছেড়ে দেওয়ার অনুমতি চেয়ে ওপর মহলে চিঠি দেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, সোমবার ধামইরহাট উপজেলার নন্দনপুর গ্রামের পাশে একটি ঝোপ-ঝারের মধ্যে চুপটি করে বসে থাকতে দেখতে পেয়ে স্থানীয়রা সেটিকে আটক করে বন বিভাগের লোকজনের হাতে তুলে দেয়।
বাংলাদেশ সময়: ০৬৩৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৫, ২০১৪