ঢাকা, শুক্রবার, ৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

জলবায়ু ও পরিবেশ

পরিবেশ রক্ষায় দ্বিগুণ তৎপর হওয়ার আহ্বান জাতিসংঘের

পরিবেশ-জীববৈচিত্র্য ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮১৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ৬, ২০১৪
পরিবেশ রক্ষায় দ্বিগুণ তৎপর হওয়ার আহ্বান জাতিসংঘের

ঢাকা: প্রাণী এবং বন সংরক্ষণে দ্বিগুণ তৎপর হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ (ইউএন)।

সোমবার জাতিসংঘ প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ আহ্বান জানানো হয়।



বলা হয়, আগামী ২০২০ সালের মধ্যে প্রাণী এবং বন সংরক্ষণের যে পরিকল্পনা রয়েছে সে লক্ষ্য মাত্রা অর্জনে বিভিন্ন রাষ্ট্র ব্যর্থ হতে চলেছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এ পরিকল্পনার মধ্যে বিশ্বখাদ্য নিরাপত্তাও অন্তর্ভুক্ত।

বিলুপ্ত প্রায় অনেক প্রজাতির প্রাণী বর্তমানে অস্তিত্ব সংকটে রয়েছে। খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আশঙ্কাজনক হারে বন উজার করে কৃষি জমি বৃদ্ধি করা হচ্ছে। একই সঙ্গে অব্যাহত দূষণের ফলে বিভিন্ন প্রজাতির মাছও বিলুপ্তির পথে। এ অবস্থা পরিবর্তন করতে হলে যে পরিমাণ কাজ করা উচিৎ তা হচ্ছে না এবং বর্তমান ধারা অব্যাহত থাকলে নির্ধারিত সময়ে লক্ষ্যে পৌঁছানো সম্ভব হবে না।

প্রতিবেদনে বলা হয়, বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তন ইস্যুতে মোট ৫৩টি লক্ষ্যে মধ্যে মাত্র পাঁচটি অর্জন করতে সম্ভব হয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া। বাকি ৪৮ টি উল্লেখযোগ্য কোনো উন্নতি নেই।

পরিবেশ সংরক্ষণ পরিকল্পনা অনুযায়ী, ২০২০ সালের মধ্যে বিশ্বের শতকরা ১৭ ভাগ জমি প্রাণী এবং বনের জন্য আলাদা করার কথা রয়েছে। কিন্তু অনেকেই এখনও নির্ধারণ করতে পারে নি কতটুকু জমি সংরক্ষণ করা হলে প্রাণী জগৎ হুমকির হাত থেকে রক্ষা পাবে এবং কি পদ্ধতিতে সংরক্ষণ করা হলে প্রাণীদের খাদ্যাভাস ঠিক থাকবে।

প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, স্বতন্ত্র অর্জন নিশ্চিত হলেও পাখি, বৃহদাকার প্রাণী এবং সরীসৃপ বিলুপ্তির গড় ঝুঁকি থেকেই যায়। ঝুঁকি তালিকায় সিম্পাঞ্জি, ওরাং-ওটাং, ভাল্লুক এবং বিলুপ্ত প্রায় বিভিন্ন প্রজাতির ব্যাঙ রয়েছে।

এতে বিভিন্ন রাষ্ট্রকে প্রাণী এবং বন সংরক্ষণে দ্বিগুণ চেষ্টা করার আহ্বান জানানো হয়।

জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুন বলেন, বিশ্বব্যাপী দারিদ্রতা মুক্তি, মানব স্বাস্থ্যের উন্নয়ন, খাদ্য ও বিশুদ্ধ পানির নিশ্চয়তার জন্য এ উদ্যোগ হাতে নেয়া হয়। গবেষণায় দেখা গেছে, যেসব পোকা-মাকড় পরাগায়নে সাহায্য করে বিশেষত মৌমাছি প্রতি বছর ১৯০ বিলিয়ন ডলার মূল্যের ফসল উৎপাদন নিশ্চিত করে।

পরিবেশ দূষণ প্রসঙ্গে সমুদ্রের তাপমাত্রা ও ইন্দোনেশীয়ার কংগ বেসিনকে গুরুত্ব দেওয়া হয়। পাশাপাশি জলজপ্রাণী সংরক্ষণে কৃষি জমিতে সারের ব্যবহার কমিয়ে আনার পরামর্শ দেওয়া হয় প্রতিবেদনে।

২০২০ সালের মধ্যে বিশ্বব্যাপী এ লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে প্রতি বছর ১৫০ থেকে ৪৪০ বিলিয়ন ডলার খরচ করতে হবে বলে উল্লেখ করা হয় প্রতিবেদনে।

দক্ষিণ কোরিয়ার পক্ষ থেকে ডায়াস বলেন, ইতোমধ্যে প্রতি বছর প্রাণী এবং বন সংরক্ষণে প্রায় ৫০ বিলিয়ন ডলার ব্যয় করা হচ্ছে। এবং বন্যপ্রাণী সংরক্ষণের বিষয়টিকেই বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।

বিভিন্ন বড় ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে আহ্বান জানানো হলেও অধিকাংশরাই দায়িত্ব নিতে অস্বীকার করছে বলেও জানান তিনি।

বাংলাদেশ সময়: ১৮১৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৬, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।