ঢাকা, বুধবার, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

জলবায়ু ও পরিবেশ

পোনা ধরায় কমছে মাছের সংখ্যা ও ওজন

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮০৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ২২, ২০১৪
পোনা ধরায় কমছে মাছের সংখ্যা ও ওজন ছবি : বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: জাটকা ও পোনা মাছ ধরার কারণে বাৎসরিক মাছ আহরণের সংখ্যা ও মাছের গড় ওজন কমে যাচ্ছে। সামুদ্রিক গুরুত্বপূর্ণ ১০ প্রজাতি মাছের মধ্যে ইলিশ ও কিং ম্যাকারেল সংখ্যার দিক দিয়ে অনেক বেশি ধরা পড়ছে।


 
বুধবার দুপুরে বাংলাদেশের সামুদ্রিক মৎস্য সম্পদের অবতরণভিত্তিক তথ্য উপাত্ত সংগ্রহের প্রথম বছরের জরিপে পাওয়া ফলাফল উপস্থাপন শীর্ষক কর্মশালায় এসব তথ্য জানানো হয়।
 
রাজধানীর রমনা এলাকার মৎস্য ভবনে বাংলাদেশ মেরিন ফিসারিজ ক্যাপাসিটি বিল্ডিং প্রকল্প এ কর্মশালার আয়োজন করে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী মোহাম্মাদ ছায়েদুল হক।
 
সর্বোচ্চ আহরণ মাত্রা (এমএসওয়াই) ও বাৎসরিক আহরণের পরিমাণ নির্ণয়ের মাধ্যমে এ জরিপ পরিচালিত হয়।
 
কর্মশালার শুরুতে জরিপের ফলাফল তুলে ধরেন প্রকল্প সম্বয়কারী ড. জলিলুর রহমান।
 
জরিপে ওঠে এসেছে যদি জাটকা মাছ ধরা না হয় তাহলে কয়েকগুণ সামুদ্রিক মাছ বেশি পাওয়া সম্ভব। এর মধ্যে ইলিশের সংখ্যা অনেক বেশি বেড়ে যাবে।
 
গত বছরে ৩১টি গুরুত্বপূর্ণ সামুদ্রিক মাছের আহরণের পরিমাণের ওপর জরিপ চালিয়ে দেখা গেছে মোট ইলিশ ধরা পরেছে ৩ লাখ ৮৫ হাজার ৭২৯ টন (এরমধ্যে ইলিশও রয়েছে), সামুদ্রিক মাছ ধরা পড়েছে সাত লাখ ৩৮৬ টন।
 
তিনি উল্লেখ করেন, গত বছরে যে পরিমাণ ইলিশ ধরা পরেছে, যদি ছোট আকারের (২৭ সেন্টিমিটারের নীচে) মাছ না ধরা হতো তাহলে এর পরিমাণ হতো পাঁচ লাখ টনের বেশি। ঠিক এরকমভাবে আরও ৯ (নয়) প্রজাতির মাছের পরিমাণও অনেক বেশি পাওয়া যেতো।
 
কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী মোহাম্মাদ ছায়েদুল হক বলেন, ইলিশ মাছসহ বিভিন্ন সামুদ্রিক মাছ যেন সঠিক পরিমাপ ও পরিমাণে আমরা পেতে পারি সে জন্য সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছেন।
 
তিনি বলেন, আমরা নিবিরভাবে কাজ করে যাচ্ছি। আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে এক লাখ টন পর্যন্ত মাছ আহরণ করতে পারবো আমরা।

অবৈধ বোট দিয়ে অনেকেই মাছ আহরণ করছে। নিবন্ধকৃত ট্রলারের সংখ্যা ২২৫টি। কিন্তু কয়েক হাজার অবৈধ বোট আছে বলেও জানান তিনি।
 
মন্ত্রী সমুদ্র বিজয়ের ফলাফল যুগ যুগ ধরে থাকবে বলেও উল্লেখ করেন।
 
কর্মশালায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র বলেন, আমাদের মোট উৎপাদনে প্রায় শতকরা ১৭ ভাগ সামুদ্রিক মাছের অবদান রয়েছে। এছাড়া প্রায় ৫ লাখ মৎস্যজীবী মৎস্য আহরণ করে জীবন-জীবিকা নির্বাহ করছেন।
 
তিনি জানান, আগামী ২০১৫ সালের প্রথম দিকে সামুদ্রিক মৎস্য সম্পদের মজুদ নিরুপণের জন্য এ প্রকল্পের মাধ্যমে অত্যাধুনিক গবেষণা ও জরিপ জাহাজ কেনা হবে।
 
বেলা সাড়ে ৩টা পর্যন্ত চলা এ কর্মশালায় মৎস্য অধিদপ্তরের সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিব সেলিনা আফরোজা, মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. জায়েদ, প্রকল্প পরিচালক এবিএম আনারুল ইসলাম, মৎস্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা প্রমুখ।
 
উন্মুক্ত আলোচনায় বক্তারা বলেন, সামুদ্রিক মৎস্য সঠিকভাবে আহরণ করতে হলে স্থানীয় এলাকার জনপ্রতিনিধিদের সচেতন হতে হবে। এছাড়া নজরদারি আরও বাড়ানো প্রয়োজন।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৮০৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ২২, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।