ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

জলবায়ু ও পরিবেশ

রংপুর শালবনে গড়ে উঠছে ইকোপার্ক

সাজ্জাদ বাপ্পী, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৪২ ঘণ্টা, অক্টোবর ২২, ২০১৪
রংপুর শালবনে গড়ে উঠছে ইকোপার্ক

রংপুর: জেলার মিঠাপুকুর উপজেলার শাল্টি গোপালপুরের দু’শো একর শালবন জুড়ে গড়ে  তোলা হচ্ছে ইকোপার্ক। ইতোমধ্যে প্রথম পর্যায়ের কাজ শেষও হয়েছে।

৭৫ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হয়েছে ভবন, সীমানা প্রাচীর, ওয়াচ টাওয়ার, দোলনা, পাবলিক টয়লেট ও কাউন্টার।

শালবনের মাঝখানে খনন করা হয়েছে ক্যানেল বিশিষ্ট পুকুর। প্রক্রিয়ায় রয়েছে দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজ।

পুরো নির্মাণকাজ বাস্তবায়ন হলে মিঠাপুকুরের এই পর্যটন কেন্দ্রটি জমজমাট হয়ে উঠবে। গোপালপুর বনবিট কর্মকর্তা রুহুল আমিন বিষয়টি বাংলানিউজকে নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে শুরু হয়েছে ইকোপার্ক নির্মাণ কাজ।

প্রথম পর্যায়ে বরাদ্দের টাকা দিয়ে নির্মাণ করা হয়েছে ভবন, সীমানা প্রাচীর, ওয়াচ টাওয়ার, দোলনা, পাবলিক টয়লেট ও কাউন্টার। খনন করা হয়েছে ক্যানেল বিশিষ্ট পুকুর। দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজ রয়েছে প্রক্রিয়াধীন। দর্শনার্থীরা এরইমধ্যে ভিড় করছেন ইকোপার্কে। উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে পার্কটি। লোক সমাগমও হচ্ছে প্রচুর।

তিনি আরও জানান, বন বিভাগের দু’শো একর জমিতে গড়ে উঠবে ইকোপার্কটি। এরই মধ্যে কাজ শেষ হয়েছে একশো একরের।

রংপুর সহকারী বন সংরক্ষক ড. প্রান্তোষ কুমার রায় বলেন, গোপালপুরে ইকোপার্কটি নির্মাণের ফলে স্থানীয়রাই উপকৃত হবে বেশি। তারা পার্ককেন্দ্রিক নানা ব্যবসা চালাতে পারবেন।

রংপুর বন্যপ্রাণি কর্মকর্তা খুরশীদ আলম বলেন, ইকোপার্কটি নির্মাণের ফলে শালবনে পরিবেশ রক্ষা হবে। আশা করি ইকোপার্কটি জমজমাট হবে।

রেঞ্জ কর্মকর্তা আজিজুল ইসলাম বলেন, শাল্টিগোপালপুরে ইকোপার্ক নির্মাণের ফলে জীববৈচিত্র্যে ভিন্নমাত্রা যোগ হলো। এরফলে প্রকৃতিপ্রেমীরা আত্মতৃপ্তি পাবেন।

এলাকাবাসী জানান, ইকোপার্কটি নির্মাণের জন্য দীর্ঘদিনের দাবি ছিল মিঠাপুকুরবাসীর। অবশেষে ইকোপার্কের প্রথম পর্যায়ের কাজ শেষ হয়েছে। কিন্তু, এখনও অনেক কিছুরই ঘাটতি রয়েছে।

পার্কে পশুপাখির ভাস্কর্য, ঝরনা, ছাউনি নির্মাণের জন্য আরও অর্থ বরাদ্দের দাবি জানান তারা।

বিভাগীয় বন কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম বলেন, রংপুরের বনের মধ্যে শাল্টিগোপালপুর শালবন অন্যতম। এখানে ইকোপার্ক নির্মাণের ফলে মিঠাপুকুরের মানুষের দীর্ঘদিনের দাবি পূরণ হলো।

বন ব্যবস্থাপনা উইংয়ের উপ-প্রধান বন সংরক্ষক ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ ও ইকোটুরিজম উপন্নয়ন প্রকল্প পরিচালক রতন কুমার মজুমদার বলেন, ইকোপার্কটি নির্মাণের জন্য প্রথম ধাপে ৭৫ লাখ টাকা বরাদ্দ করা হয়। পুরো পার্কটির কাজ শেষ করার জন্য আগামীতে আরও অর্থ বরাদ্দ দেওয়া হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ২২, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।