ঢাকা: উদ্যানে মাত্রাতিরিক্ত পশু নিয়ন্ত্রণে দর্শনার্থীদের পশুর মাংস খাওয়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সুইজারল্যান্ডের লাজেনবার্গ ওয়াইল্ডলাইফ পার্ক কর্তৃপক্ষ!
ক্রমবর্ধমান পশুর জন্য উদ্যানে যথেষ্ট জায়গা না থাকায় অতিরিক্ত বন্য শুকর ও হরিণ উদ্যানের রেস্তোরাঁতে খাওয়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা।
মাঠে সানন্দে ঘুরে বেড়ানো হরিণ বা শূকর পছন্দ করে ব্রেইসড ওয়াইল্ড বোর, কগনেক সস, বোর সসেজ ও ওয়াইল্ড ডিয়ার কারপ্যাকসিও ডিস খাওয়ার সুযোগ পাওয়া যাবে এখানে।
জুরিখ থেকে প্রায় নয় মাইল দক্ষিণ দিকে ৪.৬ বর্গমাইলের উদ্যানটি পরিদর্শন করতে কোনো টাকা দিতে হয় না। সাধারণত গড়ে প্রতি বছর পাঁচ লাখ মানুষ উদ্যানটি পরিদর্শন করতে আসেন।
উদ্যানে ১৬ প্রজাতির স্থানীয় প্রাণী রয়েছে। ২০১২ সাল থেকে উদ্যানটি মোট ৪৯টি হরিণ ও ১০টি বন্য শূকর হত্যা করে দর্শনার্থীদের পরিবেশন করে। অতিথিদের জন্য ওয়াইল্ড ডিয়ার কারপ্যাকসিও মেন্যুটি মাশরুম সালাদ, পনিরসহ ১৭.৩০ ইউরোতে পরিবেশন করা হয়।
ব্রেইসড রোস্ট ওয়াইল্ড বোরের সঙ্গে মৌসুমী সবজি পরিবেশন করা হয় ১৮.৩০ ইউরোতে। ফলের সঙ্গে কগনেক সস পরিবেশন করা হয় ২৫.৮০ ইউরোতে। এক লাখের বেশি মানুষ স্বাক্ষর করে উদ্যান কর্তৃপক্ষের কাছে অনলাইনে পিটিশন করে যেন স্বাস্থ্যবান পশু হত্যা বন্ধ করা হয়।
এক অতিথি জানান, আমি প্রাণীদের ভালোবাসি। তাদের মাংস খেতে চাই না। উদ্যান কর্তৃপক্ষ তাদের রেস্তোরাঁতে এখানকার পশুর মাংস বিক্রি করছে দেখে আমরা হতাশ। ইউরোপীয়ান অ্যানিমেল ওয়েলফেয়ার গ্রুপের সদস্য মার্টিন গ্রিফিট বলেন, এটা খুবই অদ্ভুত। উদ্যান কর্তৃপক্ষ প্রাণীদের সংরক্ষণ করার পরিবর্তে তাদের খাবারে পরিণত করেছে।
উদ্যানের মুখপাত্র বলেন, আবাসন সংকটের কারণে পশুদের গুলি করে হত্যা করা হয়। পশুর মাংস বিক্রি করা আমাদের মূল লক্ষ্য না। কিন্তু পশুর সংখ্যার দিকেও আমাদের নজর দিতে হয়। প্রাকৃতিকভাবে হরিণ ও শূকরের জন্ম নিয়ন্ত্রণ করা খুবই কঠিন কাজ। এখানে শুধু হরিণ ও শূকরের মাংস পরিবেশন করা হয়। কারণ আমাদের দেশে এখনো প্রচুর সংখ্যক বন্য হরিণ ও শূকর রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ০০৫৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৫, ২০১৪