ঢাকা: জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবেলায় গঠিত গ্রিন ক্লাইমেট ফান্ডে অনুদান বৃদ্ধির পাশাপাশি প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে ধনী রাষ্ট্রগুলোকে বাধ্য করা হবে বলে জানিয়েছেন ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট ফজলে রাব্বী মিয়া।
তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য সবচেয়ে বেশি দায়ী উন্নত দেশগুলো।
বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) সকালে জাতীয় সংসদের মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন ডেপুটি স্পিকার।
গত ১০-১১ নভেম্বর নেপালের রাজধানী কাঠমাণ্ডুতে অনুষ্ঠিত ‘জলবায়ু পরিবর্তন ও খাদ্য নিরাপত্তা’ বিষয়ক দক্ষিণ এশীয় নীতি নির্ধারণী ফোরাম আয়োজিত দু’দিনব্যাপী সংলাপ শেষে প্রেস ব্রিফিং করেন তিনি।
ডেপুটি স্পিকার বলেন, সার্ক ফুড ব্যাংক গঠন করা হলেও তা কার্যকর ভূমিকা রাখতে ব্যর্থ হয়েছে। দক্ষিণ এশিয়ার খাদ্য নিরাপত্তার স্বার্থে সার্ক ফুড ব্যাংককে আরো শক্তিশালী ও গতিশীল করতে হবে।
এর মাধ্যমে জলবায়ু পবির্তনের ক্ষতিকর প্রভাব মোকাবেলা সহজ হবে বলে দাবি করেন তিনি।
ডেপুটি স্পিকার আরো বলেন, পৃথিবীতে খাদ্য নিরাপত্তা নিয়ে এখন উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠা থাকলেও, বাংলাদেশকে এখন খাদ্য আমদানি করতে হয়না। বাংলাদেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে। ভূমিহীনদের জন্য আবাসনের ব্যবস্থা করা, কৃষিতে ভর্তুকি, অধিক ফসল উৎপাদনের জন্য উন্নত বীজ, সার, কীটনাশক সরবরাহ, উন্নত কৃষি গবেষণা প্রভৃতি বর্তমান সরকার সঠিক সময়ে সঠিক ব্যবস্থাপনায় করতে পারছে বলেই বাংলাদেশে কৃষিতে বিপ্লব ঘটেছে।
তিনি আরো বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন মানব সম্প্রদায়ের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে সমাজ, অর্থনীতি, মানবসম্পদ ও খাদ্য নিরাপত্তা হুমকির মুখে। আর বাংলাদেশের মতো অন্যান্য উন্নয়নশীল দেশগুলো সুবিধা বঞ্চিত জনগোষ্ঠী এর ক্ষতিকর প্রভাবের শিকার।
এ বিষয়ে সংসদ সদস্য ও আইন প্রনেতাদের আরো বেশি সচেতন হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে দুর্যোগ মোকাবেলায় সার্কভুক্ত পার্লামেন্টের সদস্যদের নিয়ে পৃথক পার্লামেন্টারি কমিটি গঠনের প্রস্তাব করেন।
তিনি বলেন, ধনী দেশগুলো জলবায়ু ঝুঁকি মোকাবেলায় ক্লাইমেট ফান্ডে অনুদান দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিলেও, বারবার তারা সেই প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করছেন। তাই বাংলাদেশের পক্ষ থেকে সার্কভুক্ত দেশগুলোকে অনুদান আদায়ে ঐক্যবদ্ধভাবে চাপ প্রয়োগের কথা বলা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৪৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৩, ২০১৪