জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়: পরিবেশের ওপর কোনো ধরনের বিপর্যয় না ঘটিয়ে কাজ সমাধান করা যায়, সে জন্য প্রয়োজন সদিচ্ছার। মানুষের দৈনন্দিন অভ্যাস পরিবর্তন করলে পরিবেশ সুরক্ষা সম্ভব।
সোমবার (১৭ নভেম্বর) বেলা ১১টায় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট হলে আয়োজিত ‘নো ইমপেক্ট উইক ২০১৪’ অনুষ্ঠানে বক্তারা এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে উপাচার্য অধ্যাপক ড. ফারজানা ইসলাম বলেন, প্রাকৃতিক পরিবেশ অক্ষুণœ রাখার পাশাপাশি সামাজিক ও রাজনৈতিক পরিবেশও অক্ষুণœ রাখতে হবে। পরিবেশের দীক্ষা পরিবার থেকেই প্রথম দেওয়া হয়। এ জন্য পরিবারকে পরিবেশ রক্ষায় সচেতন হতে হবে। বিশুদ্ধ পানি জীবনের জন্য অপরিহার্য। পানির প্রতি মমতা বাড়াতে হবে। রুখতে হবে পানির অপচয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশবিজ্ঞান বিভাগ আয়োজিত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আবুল হোসেন, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. আবুল খায়ের ও পরিবেশবাদী সংগঠন রিদ্রদ্যালাইনের প্রতিনিধি নুশরাত ইসলাম খান।
নুশরাত ইসলাম খান তার প্রবন্ধে বলেন, দৈনন্দিন জীবনযাপনে পরিবেশের ওপর ক্ষতি না করে কাজ করা যায়। একটু সচেতন হলেই বিদ্যুতের অপচয় রোধ করা সম্ভব। ঘর বা রুম থেকে বের হওয়ার সময় সুইচ বন্ধ করার অভ্যাস করলেই এটা সম্ভব।
তিনি বলেন, বৃক্ষ নিধনে সর্তক থাকলে বন উজাড় রোধ করা যায়। সপ্তাহে একদিন গাড়ি বন্ধ কিংবা সাইকেল চালানোর অভ্যাস গড়ে তুললে জ্বালানি সাশ্রয় করা যায়। অফিস ও বাসাবাড়িতে সোলার প্যানেল ব্যবহার করলে উৎপাদিত বিদ্যুতের ওপর ভরসা কমে যায়। অপ্রয়োজনীয় কিংবা অতিরিক্ত খাদ্যদ্রব্য, বস্ত্র কেনাকাটা কমিয়ে দিয়ে অর্থ সাশ্রয় করা যায়।
পরিবেশবিজ্ঞান বিভাগের সভাপতি ড. এ এন এম ফখরুদ্দিন এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন অধ্যাপক ড. মো. খবির উদ্দিন, সহযোগী অধ্যাপক এ এইচ এম শাহদৎ প্রমুখ।
আগামী ২০ নভেম্বর ‘নো ইমপেক্ট উইক ২০১৪’ শেষ হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫০ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৭, ২০১৪